ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে ইসকনের প্রতিবাদ সভা!

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ১১:৫৩:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 46

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রম্মচারীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতেই বড় শহরগুলোতে জয় শ্রীরাম স্লোগানে মিছিল হয়েছে। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ কনশাসনেস বা ইসকনের উদ্যোগে ড. ইউনূস সরকারের হিন্দু নিধন নীতির বিরুদ্ধে ও প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে সভার ঘোষনা দেয়া হয়েছে। আগামী চব্বিশ ঘন্টায় বিশ্বের ১০৮টি দেশে ইসকনের উদ্যোগে এ সভার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রম্মচারীর অবৈধ গ্রেফতারের প্রতিবাদে তুলসি গ্যাবার্ডসহ বিশ্বের অধিকাংশ হিন্দু মতাবলম্বী প্রভাবশালী ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বিবৃতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উৎসবসহ রিপাবলিকান ঘেষা অনেক নেতা এক্স হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

রাতেই বিদেশী বেশ কিছু গণমাধ্যম বলছে, ‘বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন পদস্থ নেতা মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ছত্রছায়ায় ইসকন ধর্মগুরুসহ বাংলাদেশে হিন্দু নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যে মামলায় প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ আরো কয়েকজন নেতাকে বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার জেলবন্দী করেছে।

এসবের প্রতিবাদে সাধারণ হিন্দুরা ঢাকার শাহবাগে জড়ো হলে সেখানে উক্ত বিএনপি নামক দলের যুবনেতারা জড়ো হয় ও শ্রী কুশল চক্রবর্তীসহ বেশকিছু সণাতনীদের উপর হামলা চালায়।’

মনে করা হচ্ছে, চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনা ড. ইউনুস সরকারকে আন্তর্জাতিক মহলে জটিলতায় ফেলবে। সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্নের আশংকা করছেন অনেকই। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, প্রফেসর ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ অভিমত প্রকাশ করেন যে, এ গ্রেপ্তারের ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বিশ্বে ক্ষুণ্ণ হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং একই সাথে অনতিবিলম্বে প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীকে জাতীয় স্বার্থে আশু মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

নানক চিন্ময়
নানক-চিন্ময়

এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অনতিবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের সম্মিলিত রক্তের স্রোতধারায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।স্বাধীনতা সংগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণ ও ত্যাগ অনস্বীকার্য। সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলেন। জাতির পিতার হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের কক্ষচ্যুতি ঘটলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ এবং শান্তির আবাস হিসেবে রূপ লাভ করে। কিন্তু সম্প্রীতির সেই বাংলাদেশ আজ হুমকির সম্মুখীন।

শেয়ার করুন

ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে ইসকনের প্রতিবাদ সভা!

সময় ১১:৫৩:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রম্মচারীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতেই বড় শহরগুলোতে জয় শ্রীরাম স্লোগানে মিছিল হয়েছে। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ কনশাসনেস বা ইসকনের উদ্যোগে ড. ইউনূস সরকারের হিন্দু নিধন নীতির বিরুদ্ধে ও প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে সভার ঘোষনা দেয়া হয়েছে। আগামী চব্বিশ ঘন্টায় বিশ্বের ১০৮টি দেশে ইসকনের উদ্যোগে এ সভার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রম্মচারীর অবৈধ গ্রেফতারের প্রতিবাদে তুলসি গ্যাবার্ডসহ বিশ্বের অধিকাংশ হিন্দু মতাবলম্বী প্রভাবশালী ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বিবৃতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উৎসবসহ রিপাবলিকান ঘেষা অনেক নেতা এক্স হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

রাতেই বিদেশী বেশ কিছু গণমাধ্যম বলছে, ‘বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন পদস্থ নেতা মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ছত্রছায়ায় ইসকন ধর্মগুরুসহ বাংলাদেশে হিন্দু নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যে মামলায় প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ আরো কয়েকজন নেতাকে বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার জেলবন্দী করেছে।

এসবের প্রতিবাদে সাধারণ হিন্দুরা ঢাকার শাহবাগে জড়ো হলে সেখানে উক্ত বিএনপি নামক দলের যুবনেতারা জড়ো হয় ও শ্রী কুশল চক্রবর্তীসহ বেশকিছু সণাতনীদের উপর হামলা চালায়।’

মনে করা হচ্ছে, চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনা ড. ইউনুস সরকারকে আন্তর্জাতিক মহলে জটিলতায় ফেলবে। সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্নের আশংকা করছেন অনেকই। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, প্রফেসর ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ অভিমত প্রকাশ করেন যে, এ গ্রেপ্তারের ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বিশ্বে ক্ষুণ্ণ হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং একই সাথে অনতিবিলম্বে প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীকে জাতীয় স্বার্থে আশু মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

নানক চিন্ময়
নানক-চিন্ময়

এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অনতিবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের সম্মিলিত রক্তের স্রোতধারায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।স্বাধীনতা সংগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণ ও ত্যাগ অনস্বীকার্য। সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলেন। জাতির পিতার হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের কক্ষচ্যুতি ঘটলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ এবং শান্তির আবাস হিসেবে রূপ লাভ করে। কিন্তু সম্প্রীতির সেই বাংলাদেশ আজ হুমকির সম্মুখীন।