ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিটিএস আর্মি !

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১২:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 248

বিটিএস আর্মি। এই একটি নামের পেছনে আছে কোটি কোটি ভক্তের ভালোবাসা, উচ্ছাস এবং সংগ্রামের গল্প।

বিটিএস আর্মি, কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএসের ভক্ত গোষ্ঠী। ২০১৩ সালে বিটিএস তাদের যাত্রা শুরু করে এবং তাদের সাথে সাথেই গঠিত হয় আর্মি। প্রথম দিকে কেবলমাত্র কোরিয়া এবং এর আশেপাশের দেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ ছিলো এই গোষ্ঠী। কিন্তু খুব দ্রæতই বিটিএস আর্মির সংখ্যা বাড়াতে থাকে এবং এখন তারা এক বৈশ্বিক শক্তি। এই আর্মির বিশেষত্ব হলো তাদের আন্তরিকতা, একতা এবং সংগ্রামী মনোভাব।

বিটিএস আর্মির কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিটিএসকে সমর্থন করা। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক সহ নানা প্ল্যাটফর্মে তারা বিটিএসকে প্রচার করে এবং তাদের সাফল্যে অবদান রাখে। একে অন্যকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে তারা বিটিএসের গান, ভিডিও এবং বার্তা ছড়িয়ে দেয় সারা বিশ্বে।

বিটিএস আর্মি কেবল গান এবং বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত। বিটিএসের আদর্শ ও প্রেরণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা
বিভিন্ন চ্যারিটি এবং সেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। “লাভ মাইসেলফ” ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে তারা নিজেদের এবং অন্যদের ভালোবাসতে শিখছে এবং সবার জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১ মিলিয়ন অ্যালবাম কপি বিক্রি করা দলের নাম বিটিএস। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বিশ্বে সর্বোচ্চ অ্যালবাম বিক্রি করা তালিকায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। কোরিয়ার অর্থনীতিতে বিটিএসের অবদান প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। বিশালসংখ্যক অবদান রাখার কারণে বিটিএস ফ্যানবেইজকে বলা হয় বিটিএস ‘আর্মি’।

বিশাল ভক্তকুল থাকায় যে কোনো পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিতে তেমন একটা সমস্যা হয় না বিটিএসের। শোতে থাকে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। এ ছাড়া নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত থাকে তারা। শিশুদের প্রতি সহিংসতা নিরোধ, সমকামিতার পক্ষে কথা বলা, বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনসহ নানা কাজে যুক্ত থাকে বিটিএস আর্মিরা। বাংলাদেশেও রয়েছে এদের কার্যক্রম।

বিটিএস আর্মির এই একাত্মতা ও ভালোবাসার পেছনে রয়েছে বিটিএসের সদস্যদের সঙ্গে তাদের গভীর সংযোগ। আরএম, জিন, শুগা, জে-হোপ, জিমিন, ভি তাদের সবার প্রতি আর্মির ভালোবাসা অকৃত্রিম। বিটিএসের গানগুলো আর্মিকে একজোট করে এবং তাদের জীবনের নানা সমস্যার মোকাবেলা করতে সাহস যোগায়।

বিটিএস আর্মির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো তাদের সৃজনশীলতা। তারা নিজেদের প্রতিভা এবং উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে নানা রকমের ফ্যান আর্ট, ফ্যান ফিকশন এবং কভার ভিডিও তৈরি করে। এই সৃজনশীলতা তাদের মাঝে এক বিশেষ বন্ধন সৃষ্টি করে, যা বিটিএসের প্রতি তাদের ভালোবাসাকে আরও গভীর করে তোলে।

বিটিএস আর্মি একটি পরিবারের মতো। তারা একে অন্যকে সমর্থন করে, উৎসাহিত করে এবং একসাথে বিটিএসের গান এবং বার্তার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও সুন্দর করার চেষ্টা করে। তাদের এই ভালোবাসা এবং একাত্মতার গল্প শোনার মতো, শেখার মতো।

শেয়ার করুন

বিটিএস আর্মি !

সময় ১২:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিটিএস আর্মি। এই একটি নামের পেছনে আছে কোটি কোটি ভক্তের ভালোবাসা, উচ্ছাস এবং সংগ্রামের গল্প।

বিটিএস আর্মি, কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএসের ভক্ত গোষ্ঠী। ২০১৩ সালে বিটিএস তাদের যাত্রা শুরু করে এবং তাদের সাথে সাথেই গঠিত হয় আর্মি। প্রথম দিকে কেবলমাত্র কোরিয়া এবং এর আশেপাশের দেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ ছিলো এই গোষ্ঠী। কিন্তু খুব দ্রæতই বিটিএস আর্মির সংখ্যা বাড়াতে থাকে এবং এখন তারা এক বৈশ্বিক শক্তি। এই আর্মির বিশেষত্ব হলো তাদের আন্তরিকতা, একতা এবং সংগ্রামী মনোভাব।

বিটিএস আর্মির কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিটিএসকে সমর্থন করা। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক সহ নানা প্ল্যাটফর্মে তারা বিটিএসকে প্রচার করে এবং তাদের সাফল্যে অবদান রাখে। একে অন্যকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে তারা বিটিএসের গান, ভিডিও এবং বার্তা ছড়িয়ে দেয় সারা বিশ্বে।

বিটিএস আর্মি কেবল গান এবং বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত। বিটিএসের আদর্শ ও প্রেরণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা
বিভিন্ন চ্যারিটি এবং সেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। “লাভ মাইসেলফ” ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে তারা নিজেদের এবং অন্যদের ভালোবাসতে শিখছে এবং সবার জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১ মিলিয়ন অ্যালবাম কপি বিক্রি করা দলের নাম বিটিএস। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বিশ্বে সর্বোচ্চ অ্যালবাম বিক্রি করা তালিকায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। কোরিয়ার অর্থনীতিতে বিটিএসের অবদান প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। বিশালসংখ্যক অবদান রাখার কারণে বিটিএস ফ্যানবেইজকে বলা হয় বিটিএস ‘আর্মি’।

বিশাল ভক্তকুল থাকায় যে কোনো পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিতে তেমন একটা সমস্যা হয় না বিটিএসের। শোতে থাকে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। এ ছাড়া নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত থাকে তারা। শিশুদের প্রতি সহিংসতা নিরোধ, সমকামিতার পক্ষে কথা বলা, বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনসহ নানা কাজে যুক্ত থাকে বিটিএস আর্মিরা। বাংলাদেশেও রয়েছে এদের কার্যক্রম।

বিটিএস আর্মির এই একাত্মতা ও ভালোবাসার পেছনে রয়েছে বিটিএসের সদস্যদের সঙ্গে তাদের গভীর সংযোগ। আরএম, জিন, শুগা, জে-হোপ, জিমিন, ভি তাদের সবার প্রতি আর্মির ভালোবাসা অকৃত্রিম। বিটিএসের গানগুলো আর্মিকে একজোট করে এবং তাদের জীবনের নানা সমস্যার মোকাবেলা করতে সাহস যোগায়।

বিটিএস আর্মির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো তাদের সৃজনশীলতা। তারা নিজেদের প্রতিভা এবং উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে নানা রকমের ফ্যান আর্ট, ফ্যান ফিকশন এবং কভার ভিডিও তৈরি করে। এই সৃজনশীলতা তাদের মাঝে এক বিশেষ বন্ধন সৃষ্টি করে, যা বিটিএসের প্রতি তাদের ভালোবাসাকে আরও গভীর করে তোলে।

বিটিএস আর্মি একটি পরিবারের মতো। তারা একে অন্যকে সমর্থন করে, উৎসাহিত করে এবং একসাথে বিটিএসের গান এবং বার্তার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও সুন্দর করার চেষ্টা করে। তাদের এই ভালোবাসা এবং একাত্মতার গল্প শোনার মতো, শেখার মতো।