০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-যুবদল নেতার হাতাহাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
  • সময় ০৯:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 31

হাতাহাতি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৌরসভাতে কথা-কাটাকাটির জেরে কালিয়াকৈর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন খানের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৭ মার্চ) কালিয়াকৈর পৌরসভা কার্যালয়ের নিচে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার কালিয়াকৈর পৌরসভা কার্যালয়ে কালিয়াকৈর হাটবাজার, মাছের আড়ৎ এবং টার্মিনাল ইজার দরপত্র জমা দেওয়ার কাজ চলছিল।

পৌরসভার কার্যালয়ের নিচে মামুন এবং শাহাদতের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে মামুন শাহাদতের শার্টের কলার ধরে টানাটানি শুরু করে। এসময় উপস্থিত পুলিশ এগিয়ে গিয়ে দুইজনকে থামিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার একটি ট্রেড লাইসেন্সের ফি জমা দেওয়ার ব্যাপারে পৌরসভায় গেলে সেখানে দরপত্র জমা দেওয়ার কাজে ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার শার্টের কলার ধরে টেনে কিল-ঘুষি মারেন।

মামুন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো টেন্ডার জমা দিতে যাইনি, বরং এলাকার ট্যাক্স সংক্রান্ত কাজে পৌরসভায় গিয়েছিলাম। শাহাদাত আমার নেতা হুমায়ুন কবির খান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন।

আমি শুধু তাকে বলেছি, সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে চাইলে চলেন নেতার কাছে নিয়ে যাই। এ কথা বলার পর তার সাথে কিছু কথা-কাটাকাটি ও ধাকাধাক্কি হয়। এটা আমার ব্যক্তিগত ঘটনার কারণে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এখানে দলীয় কোন বিষয় নেই।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আমরা আগেই পৌরসভায় উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাবিতর্ক হচ্ছিল। আমরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তাদের আলাদা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখানে কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষ বা টেন্ডার নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার আহমেদ বলেন, আমি টেন্ডার ড্রপিং কার্যক্রমের সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। তবে সরাসরি কোনো ধস্তাধস্তি দেখিনি। পরে একটি ভিডিও দেখে জানতে পারি, সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে টেন্ডার জমার প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য বের করা হবে।

শেয়ার করুন

বিএনপি-যুবদল নেতার হাতাহাতি

সময় ০৯:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৌরসভাতে কথা-কাটাকাটির জেরে কালিয়াকৈর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন খানের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৭ মার্চ) কালিয়াকৈর পৌরসভা কার্যালয়ের নিচে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার কালিয়াকৈর পৌরসভা কার্যালয়ে কালিয়াকৈর হাটবাজার, মাছের আড়ৎ এবং টার্মিনাল ইজার দরপত্র জমা দেওয়ার কাজ চলছিল।

পৌরসভার কার্যালয়ের নিচে মামুন এবং শাহাদতের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে মামুন শাহাদতের শার্টের কলার ধরে টানাটানি শুরু করে। এসময় উপস্থিত পুলিশ এগিয়ে গিয়ে দুইজনকে থামিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার একটি ট্রেড লাইসেন্সের ফি জমা দেওয়ার ব্যাপারে পৌরসভায় গেলে সেখানে দরপত্র জমা দেওয়ার কাজে ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার শার্টের কলার ধরে টেনে কিল-ঘুষি মারেন।

মামুন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো টেন্ডার জমা দিতে যাইনি, বরং এলাকার ট্যাক্স সংক্রান্ত কাজে পৌরসভায় গিয়েছিলাম। শাহাদাত আমার নেতা হুমায়ুন কবির খান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন।

আমি শুধু তাকে বলেছি, সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে চাইলে চলেন নেতার কাছে নিয়ে যাই। এ কথা বলার পর তার সাথে কিছু কথা-কাটাকাটি ও ধাকাধাক্কি হয়। এটা আমার ব্যক্তিগত ঘটনার কারণে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এখানে দলীয় কোন বিষয় নেই।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আমরা আগেই পৌরসভায় উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাবিতর্ক হচ্ছিল। আমরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তাদের আলাদা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখানে কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষ বা টেন্ডার নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার আহমেদ বলেন, আমি টেন্ডার ড্রপিং কার্যক্রমের সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। তবে সরাসরি কোনো ধস্তাধস্তি দেখিনি। পরে একটি ভিডিও দেখে জানতে পারি, সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে টেন্ডার জমার প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য বের করা হবে।