বাংলাদেশিদের সেবা দেবে ত্রিপুরা, তবে
- সময় ১১:২২:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 47
চলমান বৈরিতার মাঝেও বাংলাদেশিদের জন্য সেবা দিতে রাজি আছে ত্রিপুরা, তবে সেখানেও রয়েছে শর্ত। শিথিল করা হয়েছে কয়েক দিন ধরে চলা বাগযুগ্ধ। মূলত চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের ‘অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
রাজ্যের হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকদের সংগঠনটি বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বলেছে, মেডিকেল ভিসা নিয়ে আসা বাংলাদেশিদের থাকাসহ অন্যান্য সেবা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অতিথিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংগঠনটি।
গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) সংগঠনটি বলেছিল, প্রতিবেশী বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশি অতিথিদের সেবা দেবেন না।
তখন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সোমবার অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এখন সংগঠনটি চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ভারতের ডানপন্থি সংস্থা ‘হিন্দু সংগ্রাম স্মৃতি’ এ হামলা চালায়।
ভারতের আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার (০২ ডিসেম্বর) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভটি সার্কিট হাউসের মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কের্যের সামনে পৌঁছলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশি ব্যারিকেট ভেঙে তারা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশ করে।
ঘটনার পরই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে যায়। পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি ড. কিরান কুমা এবং ডিজিপি অনুরাগ ধানকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিক্ষোভ চলাকালে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনারের কাছে একটি স্মারক লিপি পৌঁছে দেন। এ সময় একজন বিক্ষোভকারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাকে খাবার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য।
আগরতলার ঘটনার জেরে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে বাংলাদেশের তলবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। পরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক গঠনমূলক সম্পর্ক নির্মাণ করতে চায়। একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কোনো কারণ নেই।