শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে
ক্রোয়েশিয়াতে বাংলাদেশিদের পারমিট বন্ধ
- সময় ০৪:২৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
- / 67
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট বন্ধ করতে যাচ্ছে। কারণ কর্মীরা দেশটির পারমিট নিয়ে শেনজেন অঞ্চলে চলে যাচ্ছেন বলে ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে। এটি অনিয়ম হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে কপাল পুড়তে যাচ্ছে ইউরোপে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণকারী বাংলাদেশীদেরও।
হেগে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ক্রোয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া বন্ধ করতে যাচ্ছে।
২৩ জানুয়ারির একটি চিঠিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এর অনুলিপিও পেয়েছে গণমাধ্যম।
দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশি কর্মীরা ক্রোয়েশিয়ার পারমিট নিয়ে শেনজেন অঞ্চলের অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছেন বলে ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে। এটি অনিয়ম হিসেবে বিবেচিত হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে ক্রোয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ১২ হাজার ৪০০টি ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা ইস্যু করেছিল। এর মধ্যে ৮ হাজার কর্মী ক্রোয়েশিয়ায় পৌঁছাননি। বাকি ৪ হাজার ৪০০ জনের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৫০ শতাংশ ক্রোয়েশিয়ায় কাজ করছেন।
এই অননুমোদিত অভিবাসনের সমালোচনা করে ক্রোয়েশিয়াকে এ ধরনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
দূতাবাস সতর্ক করে জানিয়েছে, এই বিষয়টি শীঘ্রই ক্রোয়েশিয়ান গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কর্মসংস্থানের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে।
বর্তমানে ক্রোয়েশিয়ায় প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। তারা মূলত নির্মাণ, রেস্তোরাঁ এবং খাবার সরবরাহ খাতে নিযুক্ত।
দূতাবাস জানিয়েছে, ক্রোয়েশিয়ায় কর্মপরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধা অনেক ইউরোপীয় দেশের তুলনায় ভালো। তবে অনেক বাংলাদেশি কর্মী ক্রোয়েশিয়ার পারমিট ব্যবহার করে অবৈধভাবে শেনজেন অঞ্চলের অন্যান্য দেশে চলে যান।
চিঠিতে প্রস্তাব করা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে একটি কর্মী সহযোগিতা চুক্তি তৈরি করুক।
চিঠিতে বলা হয়, “এর মাধ্যমে আমরা দেখাতে পারব, বাংলাদেশ এ ধরনের অনিয়ম রোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। অন্যথায়, এই সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, “মন্ত্রণালয় বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছে এবং এটি সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছে।”
ক্রোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশাধিকার বজায় রাখা এবং বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের সুনাম রক্ষায় এই সমস্যাগুলোর সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।