০১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালের প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই

বিনোদন ডেস্ক
  • সময় ০২:১৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 61

প্রতুল মুখোপাধ্যায়

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের নির্মাতা, বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও ভারতীয় সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় (৮৩) মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করা এই কীর্তিমানের মৃত্যুতে দুই বাংলায় শোকের ছায়া নেমেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টা।

চলতি বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এ শিল্পী। এরই মধ্যে তার শরীরে একটি অস্ত্রোপচার হয়। এরপর হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। সেই সঙ্গে আক্রান্ত হন নিউমোনিয়াতেও। কিছুদিন আগেই হাসপাতালে শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম প্রতুলের। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। মা বাণী মুখোপাধ্যায় ও প্রতুলকে নিয়ে দেশভাগের পরে এপার বাংলায় চলে আসেন তিনি।

অল্প বয়স থেকেই কবিতায় সুর দিতেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার অসংখ্য গানের মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি তাকে বিশেষভাবে পরিচিত করে তোলে। তার কণ্ঠে এ গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। পাশাপাশি‘ডিঙা ভাসাও সাগরে’ও বেশ জনপ্রিয়। গান গাওয়া, লেখা, সবকিছুতেই নিজের প্রতিভার জাত চিনিয়েছেন।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ শোনাতেন তিনি। তবে এই একটিই গান নয়, প্রতুল সারা জীবন ধরে অসংখ্য মণিমুক্তো সৃষ্টি করে গিয়েছেন।

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’,‘আলু বেচো’,‘ছোকরা চাঁদ’,‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’,‘সেই মেয়েটি’,‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’এর মতো গানও শ্রোতার মন জিতেছে বারবার।

যতদিন বাঙালি শ্রোতা থাকবে এই পৃথিবীতে বেজে চলবে গানটি। থেকে যাবে সেই গানের অমোঘ অনুরণন।

শেয়ার করুন

বরিশালের প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই

সময় ০২:১৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের নির্মাতা, বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও ভারতীয় সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় (৮৩) মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করা এই কীর্তিমানের মৃত্যুতে দুই বাংলায় শোকের ছায়া নেমেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টা।

চলতি বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এ শিল্পী। এরই মধ্যে তার শরীরে একটি অস্ত্রোপচার হয়। এরপর হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। সেই সঙ্গে আক্রান্ত হন নিউমোনিয়াতেও। কিছুদিন আগেই হাসপাতালে শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম প্রতুলের। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। মা বাণী মুখোপাধ্যায় ও প্রতুলকে নিয়ে দেশভাগের পরে এপার বাংলায় চলে আসেন তিনি।

অল্প বয়স থেকেই কবিতায় সুর দিতেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার অসংখ্য গানের মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি তাকে বিশেষভাবে পরিচিত করে তোলে। তার কণ্ঠে এ গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। পাশাপাশি‘ডিঙা ভাসাও সাগরে’ও বেশ জনপ্রিয়। গান গাওয়া, লেখা, সবকিছুতেই নিজের প্রতিভার জাত চিনিয়েছেন।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ শোনাতেন তিনি। তবে এই একটিই গান নয়, প্রতুল সারা জীবন ধরে অসংখ্য মণিমুক্তো সৃষ্টি করে গিয়েছেন।

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’,‘আলু বেচো’,‘ছোকরা চাঁদ’,‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’,‘সেই মেয়েটি’,‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’এর মতো গানও শ্রোতার মন জিতেছে বারবার।

যতদিন বাঙালি শ্রোতা থাকবে এই পৃথিবীতে বেজে চলবে গানটি। থেকে যাবে সেই গানের অমোঘ অনুরণন।