প্রবেশ ফি চালু হলো ওমানের গ্র্যান্ড মসজিদে
- সময় ০১:৪১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
- / 19
ওমানের সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক। পর্যটকদের জন্য নতুন প্রবেশ ফি চালু করেছে মসজিদটি। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মসজিদে প্রবেশ করতে প্রতিজন পর্যটককে ওমানি ৮ রিয়াল প্রদান করতে হবে। মসজিদের প্রশাসন জানিয়েছে, এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য দর্শনার্থীদের সেবার মান উন্নত করা, ক্রমবর্ধমান ভ্রমণকারীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা ও মসজিদের পবিত্রতা অটুট রাখা।
প্রয়াত সুলতান কাবুস বিন সাঈদের উদ্বোধিত এই মসজিদটি তার অপূর্ব স্থাপত্য ও ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। ১৪ মিটার দীর্ঘ ঝাড়বাতি ও একটিমাত্র বৃহৎ কার্পেট আছে এ মসজিদে। একসময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় জায়নামাজ ছিলো এ মসজিদে। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই মসজিদ পরিদর্শন করেন, যা ওমানের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।
সুলতান কাবুস হায়ার সেন্টার ফর কালচার অ্যান্ড সায়েন্স (SQHCCS) জানিয়েছে, মসজিদের ক্রমবর্ধমান দর্শনার্থী সংখ্যা বিশেষ করে মৌসুমে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণে প্রবেশ ফি চালু করা হয়েছে, যা সেবার মান উন্নত করতে ও মসজিদের পবিত্র পরিবেশ রক্ষা করতে সহায়ক হবে।
নতুন প্রবেশ ফি চালুর পাশাপাশি পর্যটকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, ৩৫ জন দক্ষ ওমানি গাইড বিভিন্ন ভাষায় মসজিদের তথ্য প্রদান করবেন। দর্শনার্থীদের জন্য ওমানি সাংস্কৃতিক পোশাক ভাড়া ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে (প্রতিটি পোশাকের জন্য OMR ২.৫ ফি)।
পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। ইবাদতকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে। মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য মুসলিমদের প্রবেশ ফি প্রযোজ্য নয়। তদুপরি, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বা বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য কোনো ফি ধার্য করা হবে না।
এ উদ্যোগ ওমানের ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসাকে উৎসাহিত করবে বলে ধারনা দেশটির। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে পর্যটকদের জন্য একটি সুশৃঙ্খল ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। পর্যটকদের জন্য এই পদক্ষেপ ওমানের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১৯৯২ ওমানের সুলতান কাবুস চিন্তা করেন তার দেশ ওমানে একটি গ্রান্ড মসজিদ থাকা উচিত। তাই ১৯৯৩ সালে মসজিদটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থাপতির নকশা নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতার পর ১৯৯৫ সালে বাউশের নামক স্থানের মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এই মসজিদটি নির্মাণে দায়িত্ব পালন করে কার্লিয়ন আলাওই এলএলসি। মসজিদটি তৈরীতে ছয় বছর ও চার মাস সময় লাগে।