পর্যটনে নতুন দিগন্ত সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক
- সময় ০৫:১৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
- / 250
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের টেকনাফ উপজেলার সাগর তীরে নতুন এক কর্মযজ্ঞ চলছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নামের এই প্রকল্পটিতে থাকছে বিশ্বের উন্নত দেশের নানা সুবিধা। যেটি গড়ে তোলা হচ্ছে সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে।
মোট ২৯১ একর এলাকা জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রকল্পটি। এর মধ্যে ১০০ একর জায়গায় হবে বাংলাদেশের প্রথম এক্সক্লুসিভ জোন। সেখানে শুধু বিদেশি পাসপোর্ট যাদের আছে, তারাই যেতে পারবেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ৩০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট ধরা হয়েছে। যার মধ্যে ২০২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নেয়া হবে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে।
ইতোমধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৯৪.৪৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। এর আগে আরও ১১টি প্রতিষ্ঠান ২০২ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেছে।
সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সুপার ডাইক, প্রশাসনিক ভবন এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে সীমানা দেয়াল এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলমান।
বিদেশী পর্যটকদের জন্য আলাদা জোন করার বিষয়ে ইন্টার-এশিয়া লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
প্রকল্পটিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রিসোর্ট এবং পাঁচ তারকা হোটেল, একটি গলফ কোর্স, শপিং সেন্টার, ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, অ্যাম্ফিথিয়েটার, কনভেনশন সেন্টার এবং একটি আমিউজমেন্ট পার্ক, সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের বিশেষ ব্যবস্থা, ভাসমান জেটি, শিশু পার্ক, ওসানেরিয়াম, আন্ডার ওয়াটার রেস্টুরেন্ট, ভাসমান রেস্টুরেন্টসহ নানাবিধ বিনোদনের সুবিধা থাকবে। এছাড়াও, এখানে হাসপাতাল, ফায়ার স্টেশন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রও পরিকল্পনায় রয়েছে।
প্রকল্পটিতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক-সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ থেকে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৮.৫০ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা করা হচ্ছে।
বেজা বলছে, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক হবে বাংলাদেশের ট্যুরিজমের অন্যতম আকর্ষণীয় ও বিনোদনের কাঙ্ক্ষিত স্থান। প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।
এ প্রকল্পটিতে যাতায়াত সহজ করতে কক্সবাজার শহর থেকে এক্সেপ্রেসওয়ে হচ্ছে। হচ্ছে নতুন এয়ারপোর্টও। এছাড়াও পানি পরিশোধন ও সংরক্ষণাগার, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, সোলার প্যানেল এবং বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের মতো আধুনিক সুবিধা থাকবে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের জিডিপিতে আবদান ১০.৩ শতাংশ; কিন্তু বাংলাদেশে ভ্রমণের সব উপাদন থাকার পরেও ডিজিপিতে পর্যটনের অবদান মাত্র ৩ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন প্রায় ৩৯ হাজার দেশি ও বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। যা থেকে বছরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।