১০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে কার্নিভাল উৎসব

হাফিজ আল আসাদ, পর্তুগাল লিসবন থেকে
  • সময় ০১:৪৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 35

পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে কার্নিভাল উৎসব

পর্তুগালের কার্নিভাল উৎসব একটি বর্ণিল, আনন্দঘন ও ঐতিহ্যবাহী আয়োজন, যা প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে উদযাপিত হয়। মূলত শীতের বিদায় ও বসন্তের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত এই উৎসব খ্রিস্টান ধর্মীয় ঐতিহ্যের অংশ হলেও সময়ের সঙ্গে এটি বৃহত্তর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। উৎসবটিতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ নিজেদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও রীতিনীতি তুলে ধরে।

রাজধানী লিসবনে কার্নিভাল উৎসব বেশ জনপ্রিয় হলেও তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উদযাপিত হয়। তবে শহরের রাস্তায় প্যারেড, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন থাকে। অন্যদিকে, পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পোর্তোতে কার্নিভাল আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্তভাবে পালিত হয়, যেখানে রঙিন প্যারেড, নাচ, সঙ্গীত এবং মুখোশ প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।

মাদেইরা দ্বীপে কার্নিভাল সবচেয়ে বড় পরিসরে উদযাপিত হয় এবং এটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এখানে বর্ণাঢ্য প্যারেড, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য এবং সঙ্গীত পরিবেশনা উৎসবের মূল আকর্ষণ।

পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে কার্নিভাল উৎসব
পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে কার্নিভাল উৎসব

এছাড়াও দক্ষিণ পর্তুগালের আলভোর শহর কার্নিভালের উৎসবমুখর আবহে ভরে ওঠে, যেখানে রাস্তায় শোভাযাত্রা ও লোকনৃত্যের আয়োজন করা হয়।

কার্নিভালের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো জমকালো প্যারেড ও মিছিল, যেখানে সজ্জিত ফ্লোট, রঙিন পোশাকে সজ্জিত অংশগ্রহণকারীদের নাচ ও গান পরিবেশনা দর্শকদের মোহিত করে। মুখোশ, হাস্যরসাত্মক পোশাক ও বর্ণিল সাজসজ্জা উৎসবের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। স্যাম্বা ও ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের সঙ্গে স্থানীয়রা নৃত্যে মেতে ওঠে, যা উৎসবকে আরও আনন্দময় করে তোলে।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ খাবার ও পানীয়, বিশেষ করে কার্নিভাল কেক (বোলা দে কার্নিভাল), যা সুস্বাদু মিষ্টি ও তেলেভাজা খাবার হিসেবে পরিচিত।

পর্তুগালের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজস্ব রীতিতে পালিত এই কার্নিভাল উৎসব দেশটির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতিচ্ছবি বহন করে।

শেয়ার করুন

পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে কার্নিভাল উৎসব

সময় ০১:৪৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

পর্তুগালের কার্নিভাল উৎসব একটি বর্ণিল, আনন্দঘন ও ঐতিহ্যবাহী আয়োজন, যা প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে উদযাপিত হয়। মূলত শীতের বিদায় ও বসন্তের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত এই উৎসব খ্রিস্টান ধর্মীয় ঐতিহ্যের অংশ হলেও সময়ের সঙ্গে এটি বৃহত্তর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। উৎসবটিতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ নিজেদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও রীতিনীতি তুলে ধরে।

রাজধানী লিসবনে কার্নিভাল উৎসব বেশ জনপ্রিয় হলেও তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উদযাপিত হয়। তবে শহরের রাস্তায় প্যারেড, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন থাকে। অন্যদিকে, পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পোর্তোতে কার্নিভাল আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্তভাবে পালিত হয়, যেখানে রঙিন প্যারেড, নাচ, সঙ্গীত এবং মুখোশ প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।

মাদেইরা দ্বীপে কার্নিভাল সবচেয়ে বড় পরিসরে উদযাপিত হয় এবং এটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এখানে বর্ণাঢ্য প্যারেড, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য এবং সঙ্গীত পরিবেশনা উৎসবের মূল আকর্ষণ।

পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে কার্নিভাল উৎসব
পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে কার্নিভাল উৎসব

এছাড়াও দক্ষিণ পর্তুগালের আলভোর শহর কার্নিভালের উৎসবমুখর আবহে ভরে ওঠে, যেখানে রাস্তায় শোভাযাত্রা ও লোকনৃত্যের আয়োজন করা হয়।

কার্নিভালের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো জমকালো প্যারেড ও মিছিল, যেখানে সজ্জিত ফ্লোট, রঙিন পোশাকে সজ্জিত অংশগ্রহণকারীদের নাচ ও গান পরিবেশনা দর্শকদের মোহিত করে। মুখোশ, হাস্যরসাত্মক পোশাক ও বর্ণিল সাজসজ্জা উৎসবের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। স্যাম্বা ও ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের সঙ্গে স্থানীয়রা নৃত্যে মেতে ওঠে, যা উৎসবকে আরও আনন্দময় করে তোলে।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ খাবার ও পানীয়, বিশেষ করে কার্নিভাল কেক (বোলা দে কার্নিভাল), যা সুস্বাদু মিষ্টি ও তেলেভাজা খাবার হিসেবে পরিচিত।

পর্তুগালের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজস্ব রীতিতে পালিত এই কার্নিভাল উৎসব দেশটির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতিচ্ছবি বহন করে।