পদ্মা-যমুনায় ঢাকা-দিল্লির বরফ গলবে কি!
- সময় ১২:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 56
ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ-ভারত। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চলছে সচিব পর্যায়ের বৈঠক, বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের। মূলত ঢাকা দিল্লির সম্পর্কের বরফ কি গলবে এবার পদ্মা-যমুনায়? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে পৌঁছান তিনি। তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া অণু বিভাগ) ইশরাত জাহান।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক শুরু করেছেন ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব তাদের মধ্যে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের গাড়িবহর পদ্মায় প্রবেশ করে।
ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) শুরুর আগে একান্তে কিছু সময় আলাপ-আলোচনা করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন ও বিক্রম মিশ্রি। পরে জসীম-মিশ্রির নেতৃত্বে শুরু হবে এফওসি।
বৈঠকে উভয়পক্ষ রাজনৈতিক দূরত্ব কমানোর বিষয়ে জোর দেবে। ঢাকার পক্ষ থেকে ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সক্রিয়তা বন্ধ, ভারতীয় গণমাধ্যমের বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ও ভিসার জট খোলার বিষয়ে গুরত্ব দেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তোলার পাশাপাশি সংখ্যালঘু স্বার্থ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানাতে পারে। প্রসঙ্গত, গত বছরের (২০২৩) নভেম্বরে দিল্লিতে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়।
জানা গেছে, এফওসি শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের দপ্তরে যাবেন সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। সেখানে তিনি তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বিকেলে যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
বিকালে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পরই বুঝা যাবে, এই সফরে কি ফলাফল এসেছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক ছিল সেটি ছিল বহুমাত্রিক। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে এক ধরণের মনোভাব ছিল। এবার বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরবে বলে মনে করেন ইউনূস সরকার। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষকেই কৌশলী হতে হবে। তাহলেই বরফ গলতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রির।