০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা প্রশ্নে হাইকোর্টে রুল

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০২:২০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 29

হাইকোর্ট

কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই রাষ্ট্রপতির সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহসীন কবীর রকি।

এর আগে, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এক সুপারিশে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে একটি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দেয়। সেই বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতেই ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। ৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।

২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমা করার ক্ষমতা দিলেও এর কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। ফলে, কারা, কীভাবে বা কী বিবেচনায় ক্ষমা পাচ্ছেন, তা অজানা থেকে যায়। এটি সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অতীতে এ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদেরও মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ ও আসলাম ফকির।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বছরের পর বছর রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের সময়ে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা দেওয়া হয়েছে, যা জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

শেয়ার করুন

নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা প্রশ্নে হাইকোর্টে রুল

সময় ০২:২০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই রাষ্ট্রপতির সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহসীন কবীর রকি।

এর আগে, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এক সুপারিশে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে একটি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দেয়। সেই বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতেই ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। ৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।

২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমা করার ক্ষমতা দিলেও এর কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। ফলে, কারা, কীভাবে বা কী বিবেচনায় ক্ষমা পাচ্ছেন, তা অজানা থেকে যায়। এটি সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অতীতে এ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদেরও মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ ও আসলাম ফকির।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বছরের পর বছর রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের সময়ে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা দেওয়া হয়েছে, যা জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।