ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরিক কমিটির নারীদের ওপর কৃষক দলের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
  • সময় ০৭:২০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 18

নারীদের ওপর কৃষক দলের হামলা

বিজয় দিবসে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন কৃষক দলের হামলা থেকে রক্ষা পাননি নাগরিক কমিটির নারী নেত্রী ও কর্মীরা। ‘আওয়ামী লীগ ভেবে’ বরিশাল মহানগর জাতীয় নাগরিক কমিটির ওপর হামলা চালিয়েছেন কৃষক দলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে নাগরিক কমিটি।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সোহেল চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সড়কে দায়িত্ব পালনরত পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষকে শান্ত করা হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য ডা. মাহমুদা মিতু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে নিচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের ওপর হামলা করে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে। ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। সভা করার অনুমতিপত্র দেখালেও তারা থামেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার জানিয়েছি, আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য। আমাদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু কৃষকদলের লোকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।’

হামলায় আহত চারজন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন নবগ্রাম রোডের রুমানা বেগম, হাঞ্জালা মৃধা, নবগ্রাম রোডের মেহেদী হাসান ও সদর রোডের ডা. মাহমুদা মিতু।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক শাকিল মৃধা বলেন, আলোচনা সভা চলাকালীন একদল লোক এসে আমাদের ‘আওয়ামী লীগের লোক’ বলে আখ্যা দেয়। পরে তারা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং হামলা চালিয়ে আয়োজন পণ্ড করে দেন।

নাগরিক কমিটির সভা পণ্ড
নাগরিক কমিটির সভা পণ্ড

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরিশাল মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে আসার পথে দেখি, জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে আওয়ামীপন্থীরা সড়ক আটকে প্রোগ্রাম করছেন। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আমরা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিই। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।  এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।

শেয়ার করুন

নাগরিক কমিটির নারীদের ওপর কৃষক দলের হামলা

সময় ০৭:২০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজয় দিবসে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন কৃষক দলের হামলা থেকে রক্ষা পাননি নাগরিক কমিটির নারী নেত্রী ও কর্মীরা। ‘আওয়ামী লীগ ভেবে’ বরিশাল মহানগর জাতীয় নাগরিক কমিটির ওপর হামলা চালিয়েছেন কৃষক দলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে নাগরিক কমিটি।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সোহেল চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সড়কে দায়িত্ব পালনরত পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষকে শান্ত করা হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য ডা. মাহমুদা মিতু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে নিচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের ওপর হামলা করে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে। ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। সভা করার অনুমতিপত্র দেখালেও তারা থামেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার জানিয়েছি, আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য। আমাদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু কৃষকদলের লোকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।’

হামলায় আহত চারজন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন নবগ্রাম রোডের রুমানা বেগম, হাঞ্জালা মৃধা, নবগ্রাম রোডের মেহেদী হাসান ও সদর রোডের ডা. মাহমুদা মিতু।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক শাকিল মৃধা বলেন, আলোচনা সভা চলাকালীন একদল লোক এসে আমাদের ‘আওয়ামী লীগের লোক’ বলে আখ্যা দেয়। পরে তারা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং হামলা চালিয়ে আয়োজন পণ্ড করে দেন।

নাগরিক কমিটির সভা পণ্ড
নাগরিক কমিটির সভা পণ্ড

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরিশাল মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে আসার পথে দেখি, জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে আওয়ামীপন্থীরা সড়ক আটকে প্রোগ্রাম করছেন। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আমরা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিই। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।  এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।