ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক সাবেক ধর্মমন্ত্রী দুলাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
  • সময় ০৫:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 27

দুদক

ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এবং তাঁর স্ত্রী আফরোজা হকের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ফরিদুল হক খান দুলাল আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৩ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭১৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন এবং অর্জিত সম্পদ ভোগদখলে রাখেন।

এ ছাড়া তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৫২ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেন।

দুদকের মহাপরিচালক আরও বলেন, ফরিদুল হক খান দুলালের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া অবৈধ ও সন্দেহজনক। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক সাবেক ধর্মমন্ত্রী দুলাল
দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক সাবেক ধর্মমন্ত্রী দুলাল

গত ১৯ আগস্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪১ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক। এঁদের মধ্যে সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হকের নাম ছিল। তাঁদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এম সারোয়ার হোসেন নামের এক আইনজীবী দুদকে অনুসন্ধানের আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক সাবেক ৪১ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের অনিয়ম–দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।

অপর মামলায় আসামি করা হয়েছে ফরিদুল হক খান দুলালের স্ত্রী আফরোজা হককে। এই মামলায় ফরিদুল হক দুলালের সহযোগী আসামি করা হয়েছে। মামলায় আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় সাবেক এই ধর্মমন্ত্রী ও জামালপুর-২ আসনের সাবেক এমপির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জন করার অভিযোগও আনা হয়েছে।

ছাত্র–জনতার গণ অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জনসম্মুখে দেখা যায়নি ফরিদুল হক খান দুলালসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের।

শেয়ার করুন

দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক সাবেক ধর্মমন্ত্রী দুলাল

সময় ০৫:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এবং তাঁর স্ত্রী আফরোজা হকের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ফরিদুল হক খান দুলাল আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৩ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭১৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন এবং অর্জিত সম্পদ ভোগদখলে রাখেন।

এ ছাড়া তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৫২ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেন।

দুদকের মহাপরিচালক আরও বলেন, ফরিদুল হক খান দুলালের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া অবৈধ ও সন্দেহজনক। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক সাবেক ধর্মমন্ত্রী দুলাল
দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক সাবেক ধর্মমন্ত্রী দুলাল

গত ১৯ আগস্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪১ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক। এঁদের মধ্যে সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হকের নাম ছিল। তাঁদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এম সারোয়ার হোসেন নামের এক আইনজীবী দুদকে অনুসন্ধানের আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক সাবেক ৪১ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের অনিয়ম–দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।

অপর মামলায় আসামি করা হয়েছে ফরিদুল হক খান দুলালের স্ত্রী আফরোজা হককে। এই মামলায় ফরিদুল হক দুলালের সহযোগী আসামি করা হয়েছে। মামলায় আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় সাবেক এই ধর্মমন্ত্রী ও জামালপুর-২ আসনের সাবেক এমপির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জন করার অভিযোগও আনা হয়েছে।

ছাত্র–জনতার গণ অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জনসম্মুখে দেখা যায়নি ফরিদুল হক খান দুলালসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের।