ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল অবৈধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১২:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 21

হাইকোর্ট

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ রায় পড়া শুরু হয়। তার আগে গত ৫ ডিসেম্বর রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে এই রিট আবেদনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে রুলের শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে বিষয়ে রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।

এ ছাড়া জামায়াতের পক্ষে শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী, ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে ইশরাত হাসান এবং চার আবেদনকারীর পক্ষে জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও ইন্টারভেনর হিসেবে হামিদুল মিসবাহ শুনানি করেন।

জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিটের শুনানি হয়। এরপর ১৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। রিটের পক্ষে অবস্থান নেয় বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি সংগঠন। প্রায় সকলেই শুনানিতে তত্ত্ববধায়ক সরকারের পক্ষে মত দেন।

পঞ্চদশ সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয় এবং সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

এ ছাড়া এর মাধ্যমে সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭(ক)(খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়। যেখানে বলা হয়, সংবিধানবহির্ভূতপন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধানে আওয়ামী লীগ শেষ পেরেক ঠুকে দেয়। এ ছাড়া সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান জারি করা হয়। এভাবে ছোট বড় ৫৫টি সংশোধনী আনা হয়।

শেয়ার করুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল অবৈধ

সময় ১২:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ রায় পড়া শুরু হয়। তার আগে গত ৫ ডিসেম্বর রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে এই রিট আবেদনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে রুলের শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে বিষয়ে রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।

এ ছাড়া জামায়াতের পক্ষে শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী, ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে ইশরাত হাসান এবং চার আবেদনকারীর পক্ষে জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও ইন্টারভেনর হিসেবে হামিদুল মিসবাহ শুনানি করেন।

জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিটের শুনানি হয়। এরপর ১৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। রিটের পক্ষে অবস্থান নেয় বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি সংগঠন। প্রায় সকলেই শুনানিতে তত্ত্ববধায়ক সরকারের পক্ষে মত দেন।

পঞ্চদশ সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয় এবং সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

এ ছাড়া এর মাধ্যমে সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭(ক)(খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়। যেখানে বলা হয়, সংবিধানবহির্ভূতপন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধানে আওয়ামী লীগ শেষ পেরেক ঠুকে দেয়। এ ছাড়া সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান জারি করা হয়। এভাবে ছোট বড় ৫৫টি সংশোধনী আনা হয়।