ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার ইসকন নিশ্চুপ, কলকাতার ইসকন সরব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৮:০৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 44

কলকাতা ইসকনের দাবি সত্য নয়

রাজধানী ঢাকাতেই মন্দিরে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাকে ইসকনের মন্দিরে আগুন হিসাবে দাবি করেছে কলকাতার ইসকন নেতারা। কিন্তু ঢাকার দায়িত্বশীল ইসকনের নেতারা নিশ্চুপ ভূমিকায় রয়েছেন।

ঢাকার ইসকনে ফের হামলা, অভিযোগ করলেন কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেস-এর (ইসকন) সহ-সভাপতি রাধারমন দাস ৷ শুধু মন্দিরই নয়, ভিতরে থাকা বিগ্রহে অগ্নিসংযোগ দুষ্কৃতীদের ৷ শনিবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে রাধারমন দাস জানান, বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের উপর আক্রমণের কোনও বিরাম নেই ৷ হামলা চলছেই ৷

এদিন সকালে বাংলাদেশের নামহট্টে ইসকন-এর মন্দিরের ভিতরে মূর্তি ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কলকাতা ইসকন-এর উচ্চাধিকারিক ৷ এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের ঢাকায় নামহট্টে ইসকনের কেন্দ্রটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ মন্দিরের ভিতরে বিগ্রহ এবং অন্য সব জিনিসপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে ৷”

তিনি আরও জানান, “শনিবার ভোররাতে ২টা থেকে ৩ টার মধ্যে দুষ্কৃতীরা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের মন্দির এবং শ্রীশ্রী মহাভাগ্য লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয় ৷ এই মন্দিরটি ঢাকা জেলার তুরাগ থানার আওতায় ধৌর গ্রামের হরে কৃষ্ণ নামহট্ট সংঘের অধীনে ছিল ৷ মন্দিরের পিছন দিকে টিনের ছাউনি দেওয়া ৷ সেটি খুলে মন্দিরের ভিতরে পেট্রল বা দাহ্য কোনও তরল পদার্থ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৷” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি মন্দিরের ঠিকানাও দিয়েছেন ৷

তবে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র ব্রক্ষ্মচারীকে ফোন করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি স্বামীবাগের দায়িত্বশীল প্রভু বিমলাকে ফোন এবং ক্ষুদেবার্তা পাঠালে তিনিও নিরব ভূমিকা পালন করেছেন।

স্থানীয় সনাতনীরা অভিযোগ করে বলেছেন, মন্দিরে পেট্রোল বা অকটেন দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে ধারণা। উক্ত আগুনে মন্দিরের ভেতরে বিগ্রহ সহ সকল অলঙ্কার ও দ্রব্যসামগ্রী পুড়ে যায়।

সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিবাদ
সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিবাদ

তবে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক প্রতিবাদলিপি সংগঠনের নেতারা অনতিবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পুনঃনির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা নয়ন কুণ্ডু বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, আমরা ইসকনের বিষয়টা বলতে পারছি না। তবে বাংলাদেশের আরো একটি মন্দিরে আগুন আমাদের আহত করেছে। আমরা সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি।

এ ঘটনায় তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

ঢাকার ইসকন নিশ্চুপ, কলকাতার ইসকন সরব

সময় ০৮:০৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানী ঢাকাতেই মন্দিরে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাকে ইসকনের মন্দিরে আগুন হিসাবে দাবি করেছে কলকাতার ইসকন নেতারা। কিন্তু ঢাকার দায়িত্বশীল ইসকনের নেতারা নিশ্চুপ ভূমিকায় রয়েছেন।

ঢাকার ইসকনে ফের হামলা, অভিযোগ করলেন কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেস-এর (ইসকন) সহ-সভাপতি রাধারমন দাস ৷ শুধু মন্দিরই নয়, ভিতরে থাকা বিগ্রহে অগ্নিসংযোগ দুষ্কৃতীদের ৷ শনিবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে রাধারমন দাস জানান, বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের উপর আক্রমণের কোনও বিরাম নেই ৷ হামলা চলছেই ৷

এদিন সকালে বাংলাদেশের নামহট্টে ইসকন-এর মন্দিরের ভিতরে মূর্তি ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কলকাতা ইসকন-এর উচ্চাধিকারিক ৷ এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের ঢাকায় নামহট্টে ইসকনের কেন্দ্রটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ মন্দিরের ভিতরে বিগ্রহ এবং অন্য সব জিনিসপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে ৷”

তিনি আরও জানান, “শনিবার ভোররাতে ২টা থেকে ৩ টার মধ্যে দুষ্কৃতীরা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের মন্দির এবং শ্রীশ্রী মহাভাগ্য লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয় ৷ এই মন্দিরটি ঢাকা জেলার তুরাগ থানার আওতায় ধৌর গ্রামের হরে কৃষ্ণ নামহট্ট সংঘের অধীনে ছিল ৷ মন্দিরের পিছন দিকে টিনের ছাউনি দেওয়া ৷ সেটি খুলে মন্দিরের ভিতরে পেট্রল বা দাহ্য কোনও তরল পদার্থ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৷” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি মন্দিরের ঠিকানাও দিয়েছেন ৷

তবে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র ব্রক্ষ্মচারীকে ফোন করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি স্বামীবাগের দায়িত্বশীল প্রভু বিমলাকে ফোন এবং ক্ষুদেবার্তা পাঠালে তিনিও নিরব ভূমিকা পালন করেছেন।

স্থানীয় সনাতনীরা অভিযোগ করে বলেছেন, মন্দিরে পেট্রোল বা অকটেন দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে ধারণা। উক্ত আগুনে মন্দিরের ভেতরে বিগ্রহ সহ সকল অলঙ্কার ও দ্রব্যসামগ্রী পুড়ে যায়।

সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিবাদ
সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিবাদ

তবে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক প্রতিবাদলিপি সংগঠনের নেতারা অনতিবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পুনঃনির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা নয়ন কুণ্ডু বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, আমরা ইসকনের বিষয়টা বলতে পারছি না। তবে বাংলাদেশের আরো একটি মন্দিরে আগুন আমাদের আহত করেছে। আমরা সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি।

এ ঘটনায় তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানা গেছে।