০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প-জেলেনস্কির তীব্র বাগবিতণ্ডা, খুশি রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১০:৩২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 55

ট্রাম্প-জেলেনস্কির তীব্র বাগবিতণ্ডা, খুশি রাশিয়া

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে নজিরবিহীন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এতে একপর্যায়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়। মার্কিন একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘বদমাশ’ জেলেনস্কিকে যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছেন।

বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা লিখেন, আমি মনে করি, জেলেনস্কির একগাদা মিথ্যা কথার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যা ছিল, হোয়াইট হাউসে তিনি দাবি করেছেন, ২০২২ সালে কিয়েভ সরকার একা ছিল। কোনো সমর্থন পায়নি।

এই ঘটনার পর মস্কোভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহাওয়ার বলেছেন, ট্রাম্প-জেলেনস্কির বিশৃঙ্খলা দেখে খুশি হবে রাশিয়া। পাভেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বিপাকে পড়বে ইউক্রেন।

আল জাজিরাকে পাভেল বলেছেন, মস্কোতে অবশ্যই সকলে খুশি হবেন যে জেলেনস্কি ও ট্রাম্প প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘উত্তপ্ত’ বৈঠকের পর পূর্ব আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন না করেই হোয়াইট হাউস থেকে চলে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে চুক্তিতে সইও করেননি।

জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে এ ‌বৈঠকের পর শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন। জেলেনস্কির হোয়াইট হাউস থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন, যেখানে ট্রাম্প ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ে জেলেনস্কিকে ‌‘অকৃতজ্ঞ’ বলে অভিযুক্ত করেন।

ট্রাম্পের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, একজন খুনিকে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়। পুতিনের বিষয়ে ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থানের সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। একজন খুনির সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা না করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শুধু ট্রাম্প নয়, জেলেনস্কির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও। ওভাল অফিসে বসে বিতণ্ডায় জড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জেলেনস্কি অসম্মান করেছেন মন্তব্য করে ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি একবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন না।’ মাথা নেড়ে ভ্যান্সের কথায় সায় দেন ট্রাম্প। এ সময় গলার স্বর উঁচু করে জেলেনস্কি উত্তর দেন, ‘বহুবার বলেছি, আমেরিকার জনগণকে ধন্যবাদ।’

হোয়াইট হাউসে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকের পর তাকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরও হোয়াইট হাউস জানায়, দুই রাষ্ট্রনেতা কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি সংবাদ সম্মেলনে আসবেন। সেখানে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে একটি চুক্তিতেও সই করবেন তাঁরা। কিন্ত এর কিছুক্ষণ পর হোয়াইট হাউস এই সংবাদ সম্মেলন বাতিল করার কথা জানায়। এরপর জেলেনস্কি ও তার সঙ্গে থাকা ইউক্রেনের অন্য কর্মকর্তাদের হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

হোয়াইট হাউজ থেকে জেলেনস্কিকে বের করে দেয়া হয়েছে
হোয়াইট হাউজ থেকে জেলেনস্কিকে বের করে দেয়া হয়েছে

জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একে পোস্টে লিখেছেন, জেলেনস্কি ‘যুক্তরাষ্ট্র ও এ দেশের শ্রদ্ধার জায়গা ওভাল অফিসকে (হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) অসম্মান’ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যেদিন তিনি (জেলেনস্কি) শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, আবার (হোয়াইট হাউসে) ফিরে আসতে পারেন।’

হোয়াইট হাউজের বৈঠকের পর জেলেনস্কিসহ একাধিক বিশ্বনেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সে এইসব প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনের চুম্বক অংশ নিয়ে এই লেখাটি তৈরি করা হয়েছে।

কানাডা
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ইউক্রেন অবৈধভাবে দখল করে বসে আছে রাশিয়া। তবে তিন বছর ধরে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন ইউক্রেনীয়রা। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য তাদের লড়াই আমাদের সবার কাঁচেই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রতি কানাডার সমর্থন বজায় থাকবে।

হাঙ্গেরি

প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, শক্তিমান ব্যক্তি শান্তি চায় আর দুর্বল চায় যুদ্ধ। আজ শান্তির জন্য বীরের মতো অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অবশ্য তার বক্তব্য অনেকের জন্যই হজম করা কঠিন ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জার্মানি

চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, ইউক্রেনীয় নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি শান্তি চায়। জার্মানি ও ইউরোপের ওপর ইউক্রেন নির্ভর করতে পারে।

ফ্রান্স

রাশিয়াকে আগ্রাসক এবং ইউক্রেন তাদের শিকার উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউক্রেনকে সহায়তা করে যাওয়া এবং রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনে সঠিক কাজটিই হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, জাপান ও অন্য মিত্ররা সহায়তা চালিয়ে যাবে। আর এই যুদ্ধের শুরু থেকে যারা পাশে আছেন, তাদের সবাইকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

ইতালি

বিভাজনে কারও উপকার হবে না বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি। তিনি প্রস্তাব করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অন্য মিত্রদের মধ্যে অবিলম্বে এক সম্মেলনের আয়োজন করা দরকার। ইউক্রেন ইস্যু আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলেও আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা দরকার।

ব্রিটেন

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন অটুট আছে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ভিত্তিতে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজে বের করাই এখন ব্রিটেনের লক্ষ্য।

শেয়ার করুন

বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প-জেলেনস্কির তীব্র বাগবিতণ্ডা, খুশি রাশিয়া

সময় ১০:৩২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে নজিরবিহীন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এতে একপর্যায়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়। মার্কিন একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘বদমাশ’ জেলেনস্কিকে যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছেন।

বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা লিখেন, আমি মনে করি, জেলেনস্কির একগাদা মিথ্যা কথার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যা ছিল, হোয়াইট হাউসে তিনি দাবি করেছেন, ২০২২ সালে কিয়েভ সরকার একা ছিল। কোনো সমর্থন পায়নি।

এই ঘটনার পর মস্কোভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহাওয়ার বলেছেন, ট্রাম্প-জেলেনস্কির বিশৃঙ্খলা দেখে খুশি হবে রাশিয়া। পাভেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বিপাকে পড়বে ইউক্রেন।

আল জাজিরাকে পাভেল বলেছেন, মস্কোতে অবশ্যই সকলে খুশি হবেন যে জেলেনস্কি ও ট্রাম্প প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘উত্তপ্ত’ বৈঠকের পর পূর্ব আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন না করেই হোয়াইট হাউস থেকে চলে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে চুক্তিতে সইও করেননি।

জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে এ ‌বৈঠকের পর শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন। জেলেনস্কির হোয়াইট হাউস থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন, যেখানে ট্রাম্প ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ে জেলেনস্কিকে ‌‘অকৃতজ্ঞ’ বলে অভিযুক্ত করেন।

ট্রাম্পের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, একজন খুনিকে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়। পুতিনের বিষয়ে ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থানের সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। একজন খুনির সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা না করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শুধু ট্রাম্প নয়, জেলেনস্কির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও। ওভাল অফিসে বসে বিতণ্ডায় জড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জেলেনস্কি অসম্মান করেছেন মন্তব্য করে ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি একবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন না।’ মাথা নেড়ে ভ্যান্সের কথায় সায় দেন ট্রাম্প। এ সময় গলার স্বর উঁচু করে জেলেনস্কি উত্তর দেন, ‘বহুবার বলেছি, আমেরিকার জনগণকে ধন্যবাদ।’

হোয়াইট হাউসে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকের পর তাকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরও হোয়াইট হাউস জানায়, দুই রাষ্ট্রনেতা কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি সংবাদ সম্মেলনে আসবেন। সেখানে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে একটি চুক্তিতেও সই করবেন তাঁরা। কিন্ত এর কিছুক্ষণ পর হোয়াইট হাউস এই সংবাদ সম্মেলন বাতিল করার কথা জানায়। এরপর জেলেনস্কি ও তার সঙ্গে থাকা ইউক্রেনের অন্য কর্মকর্তাদের হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

হোয়াইট হাউজ থেকে জেলেনস্কিকে বের করে দেয়া হয়েছে
হোয়াইট হাউজ থেকে জেলেনস্কিকে বের করে দেয়া হয়েছে

জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একে পোস্টে লিখেছেন, জেলেনস্কি ‘যুক্তরাষ্ট্র ও এ দেশের শ্রদ্ধার জায়গা ওভাল অফিসকে (হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) অসম্মান’ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যেদিন তিনি (জেলেনস্কি) শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, আবার (হোয়াইট হাউসে) ফিরে আসতে পারেন।’

হোয়াইট হাউজের বৈঠকের পর জেলেনস্কিসহ একাধিক বিশ্বনেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সে এইসব প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনের চুম্বক অংশ নিয়ে এই লেখাটি তৈরি করা হয়েছে।

কানাডা
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ইউক্রেন অবৈধভাবে দখল করে বসে আছে রাশিয়া। তবে তিন বছর ধরে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন ইউক্রেনীয়রা। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য তাদের লড়াই আমাদের সবার কাঁচেই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রতি কানাডার সমর্থন বজায় থাকবে।

হাঙ্গেরি

প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, শক্তিমান ব্যক্তি শান্তি চায় আর দুর্বল চায় যুদ্ধ। আজ শান্তির জন্য বীরের মতো অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অবশ্য তার বক্তব্য অনেকের জন্যই হজম করা কঠিন ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জার্মানি

চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, ইউক্রেনীয় নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি শান্তি চায়। জার্মানি ও ইউরোপের ওপর ইউক্রেন নির্ভর করতে পারে।

ফ্রান্স

রাশিয়াকে আগ্রাসক এবং ইউক্রেন তাদের শিকার উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউক্রেনকে সহায়তা করে যাওয়া এবং রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনে সঠিক কাজটিই হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, জাপান ও অন্য মিত্ররা সহায়তা চালিয়ে যাবে। আর এই যুদ্ধের শুরু থেকে যারা পাশে আছেন, তাদের সবাইকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

ইতালি

বিভাজনে কারও উপকার হবে না বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি। তিনি প্রস্তাব করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অন্য মিত্রদের মধ্যে অবিলম্বে এক সম্মেলনের আয়োজন করা দরকার। ইউক্রেন ইস্যু আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলেও আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা দরকার।

ব্রিটেন

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন অটুট আছে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ভিত্তিতে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজে বের করাই এখন ব্রিটেনের লক্ষ্য।