ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুম্মার নামাজ আদায় করেননি ওবায়দুল কাদের!

উৎপল দাস
  • সময় ০৪:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 232

ওবায়দুল কাদের (ফাইল ফটো)

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিন জুম্মার নামাজ আদায় করেননি। অবৈধ পথে কলকাতা হয়ে দিল্লিতে গিয়েও তিনি পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করতে পারেননি বলে নিশ্চিত করেছে তার সঙ্গে থাকা একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

বাংলা অ্যাফেয়ার্সের সাথে আলাপকালে সূত্রটি দাবি করে বলেছেন, তিনি ৮ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে কোনো এক ভোরে অবৈধপথে ভারতে আসেন। প্রথমে কলকাতা হয়ে বর্তমানে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে অবস্থান করছেন। কিন্তু দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত চেয়েও পাননি। শেখ হাসিনা নিজেই তার ওপর বিরক্ত থাকায়, দেখা করেননি।

তবে ওবায়দুল কাদের দিল্লিতে হোটেলে আছেন নাকি কোনো গোপন আস্তানায় আছেন, সেটি বলতে রাজি হননি সূত্র। তবে তিনি সুনিদিষ্ট করে বলেছেন, ওবায়দুল কাদের যেখানেই আছেন; তিনি নিবৃতে আছেন। কারো সাথেই তেমন কোনো কথা বলছেন না। এমনকি আগের মতো কোনো নেতাকর্মীকে ফোন করেও খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। মূলত ভারতে অবস্থান করা অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই তাকে খোঁজ করছেন। তাকে কাছে পেলেই আওয়ামী লীগ ও বিশেষ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার মূল কারিগর হিসাবে তার অতিকথনের কারণ জানতে চাইবেন নেতাকর্মীরা। এ আশঙ্কা থেকেই তিনি দিল্লিতে অবস্থান করলেও নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারেও যেতে পারছেন না। তাই তিনি শুক্রবারের জুম্মার নামাজও আদায় করতে পারেননি।

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের

সূত্র বলেছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তেমন কোনো যোগাযোগ না থাকলেও তিনি তার বলয়ের দু’একজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনই একজন বলেছেন, নেতা (ওবায়দুল কাদের) কিছুটা শুকিয়ে গেছেন। তিনি বিষন্ন ও উদাস। মাঝে মধ্যে কিছু বই নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে দেশের খোঁজখবর নিয়মিত রাখেন টেলিভিশন ও পত্রিকার মাধ্যমে। এরবেশি কিছু তিনি করেন না। অনেকটা তিনি নিরবতা পালন করছেন।

মূলত ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি ওবায়দুল কাদেরকে। এর মধ্যে তিনি সিঙ্গাপুর চলে গেছেন বলেও বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে দেশের একটি প্রথম সারির গণমাধ্যম ১২ নভেম্বর ‘ভারত গেছেন ওবায়দুল কাদের!’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। কিন্তু সেখানে তিনি সুনিদিষ্টভাবে কোথায় গেছেন, কিভাবে গেছেন তা উল্লেখ করা হয়নি।

কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে ভারত গেছেন সপ্তাহ দুয়েক আগে। এ বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে ভারতে অবস্থানরত বাংলা অ্যফেয়ার্সের সূত্র।

প্রায় তিন মাস তিনি কোথায় ছিলেন, এ নিয়ে রয়েছে নানামূখী আলোচনা। কেউ বলছেন তিনি সিঙ্গাপুরে ছিলেন, সেখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারত গেছেন। এ বিষয়ে জল্পনা কল্পনা থাকলেও কেউ সুনির্দষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি।

এমনকি ওবায়দুল কাদের কোথায় ছিলেন, কিভাবে ভারত গেলেন সে বিষয়ে দেশের কোনো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য নেই। তিনি পুলিশের খাতায় একজন পলাতক আসামি। তিনি দেশে ফিরলে আইনের মুখোমুখি হবেন এটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। যেখানে অধিকাংশই হত্যা মামলা।

শেয়ার করুন

জুম্মার নামাজ আদায় করেননি ওবায়দুল কাদের!

সময় ০৪:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিন জুম্মার নামাজ আদায় করেননি। অবৈধ পথে কলকাতা হয়ে দিল্লিতে গিয়েও তিনি পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করতে পারেননি বলে নিশ্চিত করেছে তার সঙ্গে থাকা একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

বাংলা অ্যাফেয়ার্সের সাথে আলাপকালে সূত্রটি দাবি করে বলেছেন, তিনি ৮ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে কোনো এক ভোরে অবৈধপথে ভারতে আসেন। প্রথমে কলকাতা হয়ে বর্তমানে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে অবস্থান করছেন। কিন্তু দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত চেয়েও পাননি। শেখ হাসিনা নিজেই তার ওপর বিরক্ত থাকায়, দেখা করেননি।

তবে ওবায়দুল কাদের দিল্লিতে হোটেলে আছেন নাকি কোনো গোপন আস্তানায় আছেন, সেটি বলতে রাজি হননি সূত্র। তবে তিনি সুনিদিষ্ট করে বলেছেন, ওবায়দুল কাদের যেখানেই আছেন; তিনি নিবৃতে আছেন। কারো সাথেই তেমন কোনো কথা বলছেন না। এমনকি আগের মতো কোনো নেতাকর্মীকে ফোন করেও খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। মূলত ভারতে অবস্থান করা অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই তাকে খোঁজ করছেন। তাকে কাছে পেলেই আওয়ামী লীগ ও বিশেষ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার মূল কারিগর হিসাবে তার অতিকথনের কারণ জানতে চাইবেন নেতাকর্মীরা। এ আশঙ্কা থেকেই তিনি দিল্লিতে অবস্থান করলেও নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারেও যেতে পারছেন না। তাই তিনি শুক্রবারের জুম্মার নামাজও আদায় করতে পারেননি।

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের

সূত্র বলেছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তেমন কোনো যোগাযোগ না থাকলেও তিনি তার বলয়ের দু’একজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনই একজন বলেছেন, নেতা (ওবায়দুল কাদের) কিছুটা শুকিয়ে গেছেন। তিনি বিষন্ন ও উদাস। মাঝে মধ্যে কিছু বই নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে দেশের খোঁজখবর নিয়মিত রাখেন টেলিভিশন ও পত্রিকার মাধ্যমে। এরবেশি কিছু তিনি করেন না। অনেকটা তিনি নিরবতা পালন করছেন।

মূলত ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি ওবায়দুল কাদেরকে। এর মধ্যে তিনি সিঙ্গাপুর চলে গেছেন বলেও বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে দেশের একটি প্রথম সারির গণমাধ্যম ১২ নভেম্বর ‘ভারত গেছেন ওবায়দুল কাদের!’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। কিন্তু সেখানে তিনি সুনিদিষ্টভাবে কোথায় গেছেন, কিভাবে গেছেন তা উল্লেখ করা হয়নি।

কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে ভারত গেছেন সপ্তাহ দুয়েক আগে। এ বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে ভারতে অবস্থানরত বাংলা অ্যফেয়ার্সের সূত্র।

প্রায় তিন মাস তিনি কোথায় ছিলেন, এ নিয়ে রয়েছে নানামূখী আলোচনা। কেউ বলছেন তিনি সিঙ্গাপুরে ছিলেন, সেখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারত গেছেন। এ বিষয়ে জল্পনা কল্পনা থাকলেও কেউ সুনির্দষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি।

এমনকি ওবায়দুল কাদের কোথায় ছিলেন, কিভাবে ভারত গেলেন সে বিষয়ে দেশের কোনো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য নেই। তিনি পুলিশের খাতায় একজন পলাতক আসামি। তিনি দেশে ফিরলে আইনের মুখোমুখি হবেন এটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। যেখানে অধিকাংশই হত্যা মামলা।