জুমার নামাজের সময় ভূমিকম্প, মসজিদ ধসে নিহত অন্তত ২০

- সময় ০৪:৪০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
- / 53
ভূমিকম্পের সময় মান্দালয় বিমানবন্দরের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, মিয়ানমারের এই অঞ্চলেই মসজিদ ধসে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারে আঘাত হানে শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্প। এটির প্রভাবে কেঁপে ওঠে থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ। শক্তিশালী এসব ভূমিকম্পে মিয়ানমারে অসংখ্য অবকাঠামো ধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৫ জন এবং থাইল্যান্ডে একজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশটিতে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে অন্তত ৪৩ জন আটকা পড়ে আছেন।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত তিতের বরাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মান্দালয় প্রদেশের ফো শিং মসজিদ ধসে পড়েছে। এছাড়া সেখানে আরও অন্তত তিনটি মসজিদ ভেঙে পড়ে। মসজিদ ধসে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন মারা গেছেন।
একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, “আমরা যখন নামাজ পড়ছিলাম তখন এটি ধসে পড়ে। তিনটি মসজিদ ধসে পড়েছে। মানুষ আটকে আছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেশি হতে পারে। শি ফো শিং মসজিদও ধসে পড়েছে।”
এছাড়া মান্দালয়ের ঐতিহাসিক আভা সেতুটি ধসে পড়েছে। এছাড়া মান্দালয় প্রাসাদটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে তুয়াঙ্গো সিটির মঠ ধসে পাঁচ উদ্বাস্তু শিশু নিহত হয়েছে। তারা সেখানে আশ্রয়ে ছিল।
মিয়ানমারে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রথমটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ছিল ৬ দশমিক ৪ মাত্রার।
মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও কম্পনের খবর পাওয়া গেছে। মিয়ানমারের এই ভূমিকম্প ব্যাংককে বেশ তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে এবং কম্পনের তীব্রতায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার ভিডিও ফুটেজও সামনে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন ভবনটি খাড়াখাড়িভাবে ধসে পড়ছে। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ভবনটিতে ৫০ জন কাজ করছিলেন। যারমধ্যে সাতজন বের হয়ে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু আটকে পড়েন ৪৩ জন। যাদের উদ্ধারে এখন ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে।
মিয়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।