ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্থায়ীভাবে বন্ধের ঝুঁকিতে

যমুনা সার কারখানায় প্রতিদিন লোকসান তিন কোটি টাকা

শেখ ফজলে রাব্বি, জামালপুর
  • সময় ১১:০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 50

যমুনা সার কারখানা

জামালপুরে গ্যাস সংকটে ১০ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে যমুনা সার কারখানা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারখানার মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। যতই দিন যাচ্ছে ততই স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে কারখানাটির। যেখানে প্রতিদিন সরকারকে লোকসান গুণতে হচ্ছে তিন কোটি টাকা, এমনটাই দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের বৃহৎ যমুনা সার কারখানা ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। দৈনিক উৎপাদন হতো এক হাজার ৭০০ টন দানাদার ইউরিয়া। চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝির দিকে গ্যাস সংকটে বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি। এতে কারখানার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় চার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে বেকার জীবনযাপন করছেন।

শেরপুর,জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের ২১টি জেলার ১৬২টি উপজেলায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) প্রায় দুই হাজার ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করে থাকে যমুনা সার কারখানা।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা লোকসান গুনছে। সার আমদানিতে সরকারকেও দিতে হচ্ছে মোটা অংকের ভর্তুকি।

এ বিষয়ে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কারখানার মেশিনগুলো অত্যাধুনিক। যদি কারখানা বন্ধ থাকে তাহলে বাতাসের সঙ্গে যেসব ধূলিকণা থাকে, সেসব ধূলিকণাও মেশিনগুলোর জন্য ক্ষতিকর।

তিনি আরও বলেন, একটা মেশিন বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর চালু করার সময় অনেক রকমের সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে প্ল্যান্ট প্রিজারভেশন করা কঠিন হয়ে যায়। তবে খুব শিগগির কারখানা চালু হবে বলে আশা করেন তিনি।

শেয়ার করুন

স্থায়ীভাবে বন্ধের ঝুঁকিতে

যমুনা সার কারখানায় প্রতিদিন লোকসান তিন কোটি টাকা

সময় ১১:০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামালপুরে গ্যাস সংকটে ১০ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে যমুনা সার কারখানা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারখানার মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। যতই দিন যাচ্ছে ততই স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে কারখানাটির। যেখানে প্রতিদিন সরকারকে লোকসান গুণতে হচ্ছে তিন কোটি টাকা, এমনটাই দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের বৃহৎ যমুনা সার কারখানা ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। দৈনিক উৎপাদন হতো এক হাজার ৭০০ টন দানাদার ইউরিয়া। চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝির দিকে গ্যাস সংকটে বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি। এতে কারখানার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় চার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে বেকার জীবনযাপন করছেন।

শেরপুর,জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের ২১টি জেলার ১৬২টি উপজেলায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) প্রায় দুই হাজার ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করে থাকে যমুনা সার কারখানা।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা লোকসান গুনছে। সার আমদানিতে সরকারকেও দিতে হচ্ছে মোটা অংকের ভর্তুকি।

এ বিষয়ে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কারখানার মেশিনগুলো অত্যাধুনিক। যদি কারখানা বন্ধ থাকে তাহলে বাতাসের সঙ্গে যেসব ধূলিকণা থাকে, সেসব ধূলিকণাও মেশিনগুলোর জন্য ক্ষতিকর।

তিনি আরও বলেন, একটা মেশিন বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর চালু করার সময় অনেক রকমের সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে প্ল্যান্ট প্রিজারভেশন করা কঠিন হয়ে যায়। তবে খুব শিগগির কারখানা চালু হবে বলে আশা করেন তিনি।