ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল
- সময় ০৩:২৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
- / 54
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক হিসেবে অস্থায়ী পদে নিয়োগ পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামের নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এক মাসের অতিরিক্ত বেতন ভাতা গ্রহণ করায় তাকে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নিয়োগ বাতিলের ওই চিঠিতে জানানো হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে আপনাকে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে প্রভাষক (অস্থায়ী) পদে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলীর ১নং শর্ত অনুযায়ী যে শিক্ষকের শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে আপনাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল, সে শিক্ষক শিক্ষা ছুটি শেষে ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিভাগে যোগদান করেছেন। বর্তমানে এ বিভাগে কোনো শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে না থাকায় আপনার শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে প্রভাষক (অস্থায়ী) পদের নিয়োগ বাতিল করা হলো। এ আদেশ চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
এক মাসের বেতন-ভাতা ফেরতের নির্দেশ দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বেতন ও ভাতা বাবদ ৬২,৩৭৭ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করেছেন। এ অবস্থায় বেতন ও ভাতা বাবদ অতিরিক্ত প্রদানকৃত এ টাকা অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে জমা প্রদানের জন্য বলা হলো।
গত বছর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক নিয়োগে ‘জালিয়াতির আশ্রয়’ নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে। গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সব প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য জানানোর কথা থাকলেও জানানো হয়নি স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম অবস্থানে থাকা ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবেদা আক্তারকে। ভালো ফলাফলের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। ওই পদে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোবেদাকে কল করে জানানো হয়েছে বলে যে দাবি এবং কল লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তারও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই শিক্ষার্থীর ফোন নম্বরের বিগত কলগুলোর রেকর্ড ও গ্রামীণফোন সেন্টার হতে প্রাপ্ত কল লিস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো কল প্রাপ্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, চিঠি বা ই-মেইল এবং পরবর্তীতে কল কিংবা ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে প্রার্থীদের অবহিত করার বিধান রয়েছে। যার কোনো তোয়াক্কাই করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।