০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা
  • সময় ০৩:২৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / 25

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১

চুয়াডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে আরও চারজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রফিক (৪৮) তিতুদহ গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক ছিলেন। রফিক তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল বেলায় তিতুদহ ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে মিলন মিয়া গ্রুপের সদস্যরা রফিকের ওপর হামলা চালায়, যার ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনায় রফিকের ছোট ভাই শফিক, বিএনপি নেতা মিলন, টোটন ও রফিকুল আহত হন। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিতুদহ ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি ঈসমাইল হোসেন জানান, ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে কিছুদিন ধরেই অস্থিরতা চলছিল এবং আজ এই বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা এবং দর্শনা থানার ওসি শহিদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে যান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস জানান, “দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা রফিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১

সময় ০৩:২৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে আরও চারজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রফিক (৪৮) তিতুদহ গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক ছিলেন। রফিক তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল বেলায় তিতুদহ ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে মিলন মিয়া গ্রুপের সদস্যরা রফিকের ওপর হামলা চালায়, যার ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনায় রফিকের ছোট ভাই শফিক, বিএনপি নেতা মিলন, টোটন ও রফিকুল আহত হন। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিতুদহ ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি ঈসমাইল হোসেন জানান, ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে কিছুদিন ধরেই অস্থিরতা চলছিল এবং আজ এই বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা এবং দর্শনা থানার ওসি শহিদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে যান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস জানান, “দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা রফিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।