ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিন্ময় প্রভুর মুক্তি দাবি করেছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১০:২৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / 318

আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অনতিবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের সম্মিলিত রক্তের স্রোতধারায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।স্বাধীনতা সংগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণ ও ত্যাগ অনস্বীকার্য। সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলেন। জাতির পিতার হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের কক্ষচ্যুতি ঘটলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ এবং শান্তির আবাস হিসেবে রূপ লাভ করে। কিন্তু সম্প্রীতির সেই বাংলাদেশ আজ হুমকির সম্মুখীন।

 

নানক চিন্ময়
নানক-চিন্ময়

অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জনপদে পরিণত করেছে। অগণতান্ত্রিক এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সকলের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক মতের পাশাপাশি ধর্মীয় বিশ্বাস ও মত প্রকাশ এবং আচার-অনুষ্ঠানের উপর এক অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কোনো সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন আজ বাংলাদেশে নিরাপদ নয়। সর্বত্র সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে।

এই সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সনাতনী ধর্মাবলম্বীসহ বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, নির্বিচারে তাদেরকে হত্যা করা হয়। যা গণহত্যার শামিল। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা, বিশেষ করে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা, এটার প্রতিবাদ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি বিভিন্ন দফা সম্বলিত দাবি জানায়। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে, দমন-পীড়নের পথ বেছে নেয়।

একদিকে সরকারের মদদপুষ্ট উগ্রবাদীরা তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উৎপাদন ও কটাক্ষ করতে থাকে। অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়। এরই অংশ হিসেবে আজকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো সভ্য রাষ্ট্রে বিমানবন্দর থেকে কাউকে এভাবে গ্রেফতারের ঘটনা নজিরবিহীন।

তাঁকে এভাবে গ্রেফতার করায় আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ সঙ্গে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। একই সাথে আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করার আহ্বান জানাই।

শেয়ার করুন

চিন্ময় প্রভুর মুক্তি দাবি করেছে আওয়ামী লীগ

সময় ১০:২৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অনতিবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের সম্মিলিত রক্তের স্রোতধারায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।স্বাধীনতা সংগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণ ও ত্যাগ অনস্বীকার্য। সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলেন। জাতির পিতার হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের কক্ষচ্যুতি ঘটলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ এবং শান্তির আবাস হিসেবে রূপ লাভ করে। কিন্তু সম্প্রীতির সেই বাংলাদেশ আজ হুমকির সম্মুখীন।

 

নানক চিন্ময়
নানক-চিন্ময়

অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জনপদে পরিণত করেছে। অগণতান্ত্রিক এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সকলের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক মতের পাশাপাশি ধর্মীয় বিশ্বাস ও মত প্রকাশ এবং আচার-অনুষ্ঠানের উপর এক অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কোনো সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন আজ বাংলাদেশে নিরাপদ নয়। সর্বত্র সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে।

এই সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সনাতনী ধর্মাবলম্বীসহ বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, নির্বিচারে তাদেরকে হত্যা করা হয়। যা গণহত্যার শামিল। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা, বিশেষ করে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা, এটার প্রতিবাদ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি বিভিন্ন দফা সম্বলিত দাবি জানায়। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে, দমন-পীড়নের পথ বেছে নেয়।

একদিকে সরকারের মদদপুষ্ট উগ্রবাদীরা তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উৎপাদন ও কটাক্ষ করতে থাকে। অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়। এরই অংশ হিসেবে আজকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো সভ্য রাষ্ট্রে বিমানবন্দর থেকে কাউকে এভাবে গ্রেফতারের ঘটনা নজিরবিহীন।

তাঁকে এভাবে গ্রেফতার করায় আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ সঙ্গে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। একই সাথে আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করার আহ্বান জানাই।