ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোষ্ঠীশাসন গণতন্ত্রের বিপদের কারণ হয়ে উঠছে: বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১১:২৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 23

জো বাইডেন

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ ভাষণে জো বাইডেন বললেন, যুক্তরাষ্ট্রে গোষ্ঠীশাসন গণতন্ত্রের বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। পাশাপাশি, ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়া নিয়েও নিজের উদ্বেগের কথা জানান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন বলেছেন, ‘অল্প কিছু ধনী মানুষের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’ তার মতে, ‘এটা ভয়ংকর প্রবণতা এবং তা মার্কিণ গণতন্ত্রে বিপদের কারণ।’

বাইডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আজ গোষ্ঠীশাসনতন্ত্র তার রূপ নিতে শুরু করেছে। বিত্তশালী ব্যক্তি ও তাদের ক্ষমতা ও প্রভাব আমাদের গোটা গণতন্ত্রকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের মূল স্বাধীনতা ও অধিকার বিপন্ন হতে পারে।’

বাইডেন কারো নাম উল্লেখ করেননি, কিন্তু ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট খুব সম্ভবত টেসলা ও স্পেস এক্সের সিইও ইলন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ যেভাবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।

আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন, তখন এই তিনজনই উপস্থিত থাকবেন।

বাইডেন বলেছেন, ‘আমি পরিবেশকে বাঁচিয়ে দেশকে আর্থিক প্রগতির দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা পরিবেশ বাঁচাতে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, ক্ষমতাশালীরা তাদের বিপুল ও অনিয়ন্ত্রিত প্রভাব খাটিয়ে তা নষ্ট করতে চায়।’

বাইডেন জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ভুল তথ্যের নিচে চাপা পড়ছে। এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিপদের মুখে।’

বিদায়ী প্রেসিডেন্টের মতে, ‘স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ধারণা ভেঙে পড়ছে। সামাজিক মাধ্যমে ফ্যাক্ট চেক হচ্ছে না।’

বাইডেন বলেছেন, তিনি সংবিধানের সংশোধন চান। তিনি চান, কোনো প্রেসিডেন্ট যদি তার মেয়াদকালে কোনো অপরাধ করেন, তবে তার বিচার হবে।

বাইডেন এআই নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এআইর বিপদ সম্পর্কে জানা থাকা দরকার। তার মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো বর্তমান সময়ের ও সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তি।’

 

শেয়ার করুন

গোষ্ঠীশাসন গণতন্ত্রের বিপদের কারণ হয়ে উঠছে: বাইডেন

সময় ১১:২৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ ভাষণে জো বাইডেন বললেন, যুক্তরাষ্ট্রে গোষ্ঠীশাসন গণতন্ত্রের বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। পাশাপাশি, ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়া নিয়েও নিজের উদ্বেগের কথা জানান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন বলেছেন, ‘অল্প কিছু ধনী মানুষের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’ তার মতে, ‘এটা ভয়ংকর প্রবণতা এবং তা মার্কিণ গণতন্ত্রে বিপদের কারণ।’

বাইডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আজ গোষ্ঠীশাসনতন্ত্র তার রূপ নিতে শুরু করেছে। বিত্তশালী ব্যক্তি ও তাদের ক্ষমতা ও প্রভাব আমাদের গোটা গণতন্ত্রকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের মূল স্বাধীনতা ও অধিকার বিপন্ন হতে পারে।’

বাইডেন কারো নাম উল্লেখ করেননি, কিন্তু ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট খুব সম্ভবত টেসলা ও স্পেস এক্সের সিইও ইলন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ যেভাবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।

আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন, তখন এই তিনজনই উপস্থিত থাকবেন।

বাইডেন বলেছেন, ‘আমি পরিবেশকে বাঁচিয়ে দেশকে আর্থিক প্রগতির দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা পরিবেশ বাঁচাতে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, ক্ষমতাশালীরা তাদের বিপুল ও অনিয়ন্ত্রিত প্রভাব খাটিয়ে তা নষ্ট করতে চায়।’

বাইডেন জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ভুল তথ্যের নিচে চাপা পড়ছে। এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিপদের মুখে।’

বিদায়ী প্রেসিডেন্টের মতে, ‘স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ধারণা ভেঙে পড়ছে। সামাজিক মাধ্যমে ফ্যাক্ট চেক হচ্ছে না।’

বাইডেন বলেছেন, তিনি সংবিধানের সংশোধন চান। তিনি চান, কোনো প্রেসিডেন্ট যদি তার মেয়াদকালে কোনো অপরাধ করেন, তবে তার বিচার হবে।

বাইডেন এআই নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এআইর বিপদ সম্পর্কে জানা থাকা দরকার। তার মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো বর্তমান সময়ের ও সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তি।’