প্রধান উপদেষ্টার তদন্তের নির্দেশ
কেন সাংবাদিক নূরুল কবিরকে বিমানবন্দরে হয়রানি?
- সময় ১২:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
- / 44
নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক, বর্ষীয়ান সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। কেন এমন ঘটনা ঘটলো সেটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিশিষ্ট সম্পাদক ( দ্য নিউ এইজ) নূরুল কবির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কোনো সাংবাদিককে হয়রানি বরদাস্ত করবে না। নূরুল কবির তার দীর্ঘ কর্মজীবনে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তি ও সাংবাদিকতার প্রধান কণ্ঠস্বর। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে এদিন এক ফেসবুক পোস্টে নূরুল কবির জানান, ‘দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিবার বিদেশে যাওয়ার সময় আমাকে হয়রানি করছে।’
নূরুল কবির তার পোস্টে অতীতের হয়রানির উদাহরণ টেনে বলেন, সঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে বিদেশ ভ্রমণের কারণ নিয়ে জেরা করা হয়েছে। কখনো পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে, আবার কখনো তার পাসপোর্টের পাতা স্ক্যান করে ছবি তোলা হয়েছে, যা তার গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এমনকি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এসব হয়রানি মূলত দেশ ছাড়ার সময় ঘটে, দেশে ফেরার সময় নয়। তিনি আরও লিখেছেন, ‘এবার ১৮ নভেম্বর যখন আমি একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম, তখন ভেবেছিলাম হয়রানির দিন হয়তো শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। এবার হয়রানি দ্বিগুণ হয়েছে—প্রস্থানকালে এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরও এক ঘণ্টা।’
তিনি তার পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশপ্রেমিক হওয়া মানেই যেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সন্দেহভাজন হওয়া। ফলে আমি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং তাদের সুপারভাইজ করা সরকারের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।’