সুষম পুষ্টি নিশ্চিতে
কলারোয়ায় মাল্টি-স্টেকহোল্ডার কমিটি গঠন

- সময় ০৯:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
- / 29
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ৩নং কয়লা ইউনিয়ন পরিষদে সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি মাল্টি-স্টেকহোল্ডার প্লাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। কমিটি গঠনে দাতা সংস্থা IFAD Ges, বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তা এবং Global Alliance for Improved Nutrition (GAIN)-এর কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই প্লাটফর্মের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সোমবার (১০ মার্চ) কয়লা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো কয়লা ইউনিয়ন পরিষদকে নিউট্রিশন সেন্টারে রূপান্তর করা, যাতে স্থানীয় জনগণের সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়। এটি সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা (NPAN-2) বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান। এছাড়া, কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম এনামুল হক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটিতে ২১ জন সদস্য রয়েছেন, যার মধ্যে ৮ জন নারী এবং ১৩ জন পুরুষ সদস্য অন্তর্ভুক্ত। কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে কয়লা ইউনিয়ন প্রথমবারের মতো এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে অন্যান্য ইউনিয়নেও এ কার্যক্রম চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কনসালটেন্ট চেইন নীহার কুমার প্রামানিক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৫ জন নাগরিক অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ছিলেন তহমিনা আক্তারসহ আরও অনেকে।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই কমিটির মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের সুষম পুষ্টি নিশ্চিত হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে। পাশাপাশি, কৃষি ও পুষ্টি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান এবং সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে কয়লা ইউনিয়ন উন্নয়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং তারা সুষম পুষ্টি সংক্রান্ত কার্যক্রমকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করবে। এই উদ্যোগের ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির মানের উন্নতি সাধিত হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে কল্যাণকর প্রভাব ফেলবে।