ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি

এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতের কিছু বলার নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১০:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 75

শেখ হাসিনা-রণধীর জয়সোয়াল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া কূটনৈতিকপত্র গ্রহণ করেছে দিল্লি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। তবে এ মুহূর্তে ভারতের কিছু বলার নাই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, (হাসিনাকে) প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কিত একটি কূটনৈতিকপত্র সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আমরা হাতে পেয়েছি। তবে এ মুহূর্তে এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

এর আগে ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠানোর তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার (২৩) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান তিনি।

সোমবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কোন উপায়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী হবে।

স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পিলখানার বিজিবি সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

এর আগে, গত মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়া হবে। তিনি বলেন, ‌‌‘আমাদের প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে… আমরা ভারতকেও বলব, পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে।’

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে চলে যান। তখন থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।

উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অনেক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

শেয়ার করুন

চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি

এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতের কিছু বলার নেই

সময় ১০:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া কূটনৈতিকপত্র গ্রহণ করেছে দিল্লি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। তবে এ মুহূর্তে ভারতের কিছু বলার নাই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, (হাসিনাকে) প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কিত একটি কূটনৈতিকপত্র সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আমরা হাতে পেয়েছি। তবে এ মুহূর্তে এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

এর আগে ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠানোর তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার (২৩) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান তিনি।

সোমবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কোন উপায়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী হবে।

স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পিলখানার বিজিবি সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

এর আগে, গত মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়া হবে। তিনি বলেন, ‌‌‘আমাদের প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে… আমরা ভারতকেও বলব, পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে।’

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে চলে যান। তখন থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।

উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অনেক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।