১১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইলন মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ০২:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 35

ইলন মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে

মার্কিন ধনকুবের ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি উঠেছে কানাডায়। দেশটির সার্বভৌমত্ব নষ্টের অভিযোগ এনে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য একটি পার্লামেন্টারি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

পিটিসনে ইতিমধ্যে কানাডার কয়েক লাখেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। এই ঘটনাটি কানাডার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিম-লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

ইলন মাস্ক, যিনি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন। তার জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় একটি ধনী পরিবারে। পরবর্তীতে তিনি তার মা মে মাস্কের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করেন। তবে বর্তমানে তিনি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক প্রভাব অপরিসীম।

তিনি টেসলা, স্পেসএক্স এবং টুইটার- এর মতো প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তবে তার রাজনৈতিক অবস্থান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে।

পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ইলন মাস্ক একজন বিদেশি সরকারের সদস্য হিসেবে কানাডার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা। ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ট্রাম্পের কানাডা-বিরোধী বক্তব্য এই অভিযোগকে আরও শক্তিশালী করেছে।

ট্রাম্প কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন, কানাডার রাজনৈতিক নেতাদের উপহাস করেছেন এবং এমনকি দাবি করেছেন যে কানাডাকে একটি মার্কিন অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত। ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে সমর্থন করায় কানাডার অনেক নাগরিক তার প্রতি ক্ষুব্ধ।

কানাডিয়ান ফেডারেল আইন প্রণেতা চার্লি অ্যাঙ্গাস এই পিটিশনের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ অলিগার্ক এবং চরমপন্থিদের ক্রমবর্ধমান শক্তির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে।

অ্যাঙ্গাস, যিনি কানাডার বামপন্থি নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য, তিনি ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিদের কানাডার শত্রু হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার মতে, মাস্কের কর্মকা- এবং রাজনৈতিক অবস্থান কানাডার স্বার্থের পরিপন্থী।

কানাডার নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি অভিবাসন আবেদনে জালিয়াতি করেন, মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, অথবা কানাডার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত কোনো বিদেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেন, তাহলে তার নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।

যদিও ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনো সরাসরি অভিযোগ নেই, তবে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ককে কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

ইলন মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে!

সময় ০২:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মার্কিন ধনকুবের ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি উঠেছে কানাডায়। দেশটির সার্বভৌমত্ব নষ্টের অভিযোগ এনে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য একটি পার্লামেন্টারি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

পিটিসনে ইতিমধ্যে কানাডার কয়েক লাখেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। এই ঘটনাটি কানাডার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিম-লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

ইলন মাস্ক, যিনি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন। তার জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় একটি ধনী পরিবারে। পরবর্তীতে তিনি তার মা মে মাস্কের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করেন। তবে বর্তমানে তিনি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক প্রভাব অপরিসীম।

তিনি টেসলা, স্পেসএক্স এবং টুইটার- এর মতো প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তবে তার রাজনৈতিক অবস্থান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে।

পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ইলন মাস্ক একজন বিদেশি সরকারের সদস্য হিসেবে কানাডার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা। ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ট্রাম্পের কানাডা-বিরোধী বক্তব্য এই অভিযোগকে আরও শক্তিশালী করেছে।

ট্রাম্প কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন, কানাডার রাজনৈতিক নেতাদের উপহাস করেছেন এবং এমনকি দাবি করেছেন যে কানাডাকে একটি মার্কিন অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত। ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে সমর্থন করায় কানাডার অনেক নাগরিক তার প্রতি ক্ষুব্ধ।

কানাডিয়ান ফেডারেল আইন প্রণেতা চার্লি অ্যাঙ্গাস এই পিটিশনের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ অলিগার্ক এবং চরমপন্থিদের ক্রমবর্ধমান শক্তির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে।

অ্যাঙ্গাস, যিনি কানাডার বামপন্থি নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য, তিনি ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিদের কানাডার শত্রু হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার মতে, মাস্কের কর্মকা- এবং রাজনৈতিক অবস্থান কানাডার স্বার্থের পরিপন্থী।

কানাডার নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি অভিবাসন আবেদনে জালিয়াতি করেন, মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, অথবা কানাডার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত কোনো বিদেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেন, তাহলে তার নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।

যদিও ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনো সরাসরি অভিযোগ নেই, তবে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ককে কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।