আশার কথা শোনাতে পারেননি সৈয়দা রিজওয়ানা
- সময় ০৯:৪২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
- / 33
বায়ুদূষণ রোধে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ না নিতে পারা দায়িত্বে থাকা প্রতিটি দপ্তরের ব্যর্থতা বলে মনে করছেন পরিবেশ গবেষক ও নগরপরিকল্পনাবিদেরা। রাতারাতি বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব নয় বলে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলছেন তাঁরা। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
নয় বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে দূষিত মাস ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর। ওই মাসের মাঝামাঝি দূষণের মাত্রা নয় বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় বলে দাবি বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র ক্যাপসের।
বায়ুদূষণের প্রায় একই চিত্র বজায় রয়েছে দেশের ব্যস্ততম মেগাসিটিতে। এ চিত্রের ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের সব উদ্যোগই যে ব্যর্থ হয়েছে, তা নির্দ্বিধায় বলছেন পরিবেশ কর্মীরা।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘শুধু উদ্যোগ নিলেই হবে না। উদ্যোগ কার্যকরে কাজ করতে হবে।’
ঢাকার বায়ুদূষণ কবে কমানো সম্ভব, সে বিষয়ে আশার কথা শোনাতে পারেননি পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘রাতারাতি বায়ুদূষণ রোধ করা যাবে না।’
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীন স্থাপনা নির্মাণ, ফিটনেসহীন গাড়ি, ইটভাটা-কলকারখানার ধোঁয়া, যেখানে সেখানে বর্জ্য পোড়ানোর মতো দূষণের উৎস বন্ধ করতে পারেনি সরকার। বায়ুদূষণ রোধে ইমিডিয়েট প্রয়োজনীয় অ্যাকশন না নিতে পারা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।
স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মানুষকে বাঁচাতে বায়ুদূষণ রোধের দায়িত্বে থাকা প্রতিটি সংস্থার স্বচ্ছ, সাহসী ও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
শেয়ার করুন
আশার কথা শোনাতে পারেননি সৈয়দা রিজওয়ানা
বায়ুদূষণ রোধে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ না নিতে পারা দায়িত্বে থাকা প্রতিটি দপ্তরের ব্যর্থতা বলে মনে করছেন পরিবেশ গবেষক ও নগরপরিকল্পনাবিদেরা। রাতারাতি বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব নয় বলে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলছেন তাঁরা। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
নয় বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে দূষিত মাস ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর। ওই মাসের মাঝামাঝি দূষণের মাত্রা নয় বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় বলে দাবি বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র ক্যাপসের।
বায়ুদূষণের প্রায় একই চিত্র বজায় রয়েছে দেশের ব্যস্ততম মেগাসিটিতে। এ চিত্রের ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের সব উদ্যোগই যে ব্যর্থ হয়েছে, তা নির্দ্বিধায় বলছেন পরিবেশ কর্মীরা।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘শুধু উদ্যোগ নিলেই হবে না। উদ্যোগ কার্যকরে কাজ করতে হবে।’
ঢাকার বায়ুদূষণ কবে কমানো সম্ভব, সে বিষয়ে আশার কথা শোনাতে পারেননি পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘রাতারাতি বায়ুদূষণ রোধ করা যাবে না।’
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীন স্থাপনা নির্মাণ, ফিটনেসহীন গাড়ি, ইটভাটা-কলকারখানার ধোঁয়া, যেখানে সেখানে বর্জ্য পোড়ানোর মতো দূষণের উৎস বন্ধ করতে পারেনি সরকার। বায়ুদূষণ রোধে ইমিডিয়েট প্রয়োজনীয় অ্যাকশন না নিতে পারা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।
স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মানুষকে বাঁচাতে বায়ুদূষণ রোধের দায়িত্বে থাকা প্রতিটি সংস্থার স্বচ্ছ, সাহসী ও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।