দেহ-মাদকের রমরমা ব্যবসা
আবাসিক হোটেলে সেনাবাহিনীর অভিযান
- সময় ০২:০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
- / 252
সারাদেশেই সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। এরই ধারাবাাহিকতায় এবার আবাসিক হোটেলেও অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে দেহ ব্যবসার অভিযোগে আটক এবং বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
টঙ্গীর কেরাণিটেক হোটেল জাবানে ও বস্তিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য,দেশীয় অস্ত্র, নগদ ২২ লাখ টাকা এবং মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ৭২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ ৫১ জন ও নারী ২১ জন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
রবিবার(৩ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া অভিযানে বস্তির কয়েকটি ঘর থেকে গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র, নগদ ২২ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। টঙ্গীর জাবান হোটেলে অভিযান চলাকালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পালাতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এর আগে জাবান হোটেলের মালিক শেখ বাদলের উত্তরা বাসায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় পাঁচ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সেনাবাহিনীর মেজর ইয়াসমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর ছাড়াও র্যাব, বিজিবি এবং পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান হয়েছে। প্রায় ৫৫০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অংশ নিয়েছিলো। আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। এরপর থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
গত ১০ দিনে মোহাম্মদপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্য এবং ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।