আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্যুলার সেবা বন্ধ
- সময় ০৮:০৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 34
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে আপাতত আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ওই মিশন থেকে বাংলাদেশের ভিসা সেবা বন্ধ থাকবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের সমর্থকরা এই হামলা চালান বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরে সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনায় এক বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ। এতে বলা হয়, ‘আগরতলার হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের দ্বারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও আক্রমণের কারণে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।
এদিকে এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি তলব করা হয় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রণয় ভার্মা বলেন, একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কোনো কারণ নেই।
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। আমরা দুই দেশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের স্বার্থে এ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ভারত।
উল্লেখ্য, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তিকে কোনো অবস্থায়ই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
এ ঘটনায় ত্রিপুরায় আজ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগরতলার হামলার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনা কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন।