অবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত
- সময় ০৮:১৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 17
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছেন। স্বল্প সময়ের জন্য দেশটিতে সামরিক আইন জারির পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এর জেরে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছে। এতে বেশিরভাগ সদস্য তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। গোপন ব্যালটের এ ভোটে ৩০০ সদস্যই অংশ নিয়েছেন। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যসহ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি পদে বহাল থাকবেন। তবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পর দেশে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন। তার ভাষায়, আমি সরকারকে স্থিতিশীল করতে আমার সমস্ত শক্তি ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
ভোটের পর এক বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউন। তিনি বলেন, যদিও আমি আপাতত বিরতি দিচ্ছি, তবে গত আড়াই বছরে জনগণের সাথে আমার ভবিষ্যতের জন্য যাত্রা থামানো উচিত নয়। আমি যে উত্সাহ এবং সমর্থন পেয়েছি তা আমি আমার সাথে বহন করব এবং আমি শেষ অবধি জাতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে অবশ্য বিরোধীদের আপত্তি ও সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যম আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।