ঢাকা ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত কলেজ নিয়ে ঢাবির নতুন সিদ্ধান্ত, বাস্তবায়নে সংশয়!

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০৭:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 286

অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। তবে এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরাই। সাত কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী সংশয়ের কথা বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে নিশ্চিত করেছেন।

এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ মনে করেন, বর্তমান সরকার আবু সাঈদ – মীর মুগ্ধসহ হাজারো শহীদের রক্তের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত। যে বৈষম্যবিরোধী স্পিরিটকে সামনে রেখে তরুণ ছাত্র সমাজ অধিকার আদায় করেছিল, ঠিক তেমনিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও একই স্পিরিট ধারণ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেটি না করতে পারলে তা হবে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির সামিল। সাত কলেজের বিষয়ে আলাদাভাবে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মনোভাব বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঢাবিকে। এ বিষয়ে তাড়াহুঁড়ো না করে, সবাইকে সাথে নিয়ে বিপ্লবের চেতনাকে সমুন্নত রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করার চিন্তা করতে হবে বলেও মনে করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই (ঢাবি) অধীনে থাকবে এবং এগুলো দেখভালের জন্য ঢাবির মধ্যেই পুরোপুরি আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে- এমন সিদ্ধান্তও এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে গতকাল ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠককে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘সরকারি সাত কলেজ দেখভালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই পুরোপুরি আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে আলাদা রেজিস্ট্রারসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে উপদেষ্টা পরিষদের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত হয়েছে। এই প্রস্তাবের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ইতোপূর্বে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। বিষয়টি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চমহলে আলাপ করেছে। সরকারও বিষয়টির জনগুরুত্ব বিবেচনা করে আন্তরিকতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীসহ প্রধান অংশীজনদের নিয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে (সম্ভাব্য তারিখ আগামী রোববার) এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে সরকার সম্মত হয়েছে।

এদিকে, সাত কলেজ নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকট সমাধানে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি করে আসছিলেন। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, সরকারি সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের নিয়ে এ বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এ ব্যাপারে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আজ (শুক্রবার) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সাত কলেজের প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটা জায়গার ঠিক করা হবে। যেখানে সাত কলেজের প্রশাসনিক কাজ করা হবে। তাদের আলাদা রেজিস্ট্রার থাকবে। পুরো বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় গ্রান্টস কমিশনের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা আলাদা ফেসিলিটি হবে। তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট ভবনে আলাদা ফেসিলিটি হবে। তাদের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রি থাকবে। তাদের জন্য আলাদা অফিসিয়াল থাকবেন। তাদের জন্য যে সার্ভিসটা দরকার সেটা যেন ডেডিকেট ওয়েতে দিতে পারে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈশষ্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়া একাধিক শিক্ষার্থী দাবি করে বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি আমাদের মন মতো কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে, তাহলে সেটি আমরা মেনে নিবো। কিন্তু আমাদের ওপর কোনো অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে তা মানা হবে না। কারণ আমাদেরও অধিকার রয়েছে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে নিয়মে চলে, আমরাও সে নিয়মেই চলতে চাই। তবে সেক্ষত্রে সরকারের আন্তরিকতা বিশেষভাবে কামনা করেন তারা। বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আমরা সেটি চাইতেই পারি। কিন্তু এ নিয়ে আমরা কোনো বাড়াবাড়ি করতে চাই না, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলেই আমরা খুশি।

শেয়ার করুন

সাত কলেজ নিয়ে ঢাবির নতুন সিদ্ধান্ত, বাস্তবায়নে সংশয়!

সময় ০৭:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। তবে এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরাই। সাত কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী সংশয়ের কথা বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে নিশ্চিত করেছেন।

এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ মনে করেন, বর্তমান সরকার আবু সাঈদ – মীর মুগ্ধসহ হাজারো শহীদের রক্তের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত। যে বৈষম্যবিরোধী স্পিরিটকে সামনে রেখে তরুণ ছাত্র সমাজ অধিকার আদায় করেছিল, ঠিক তেমনিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও একই স্পিরিট ধারণ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেটি না করতে পারলে তা হবে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির সামিল। সাত কলেজের বিষয়ে আলাদাভাবে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মনোভাব বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঢাবিকে। এ বিষয়ে তাড়াহুঁড়ো না করে, সবাইকে সাথে নিয়ে বিপ্লবের চেতনাকে সমুন্নত রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করার চিন্তা করতে হবে বলেও মনে করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই (ঢাবি) অধীনে থাকবে এবং এগুলো দেখভালের জন্য ঢাবির মধ্যেই পুরোপুরি আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে- এমন সিদ্ধান্তও এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে গতকাল ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠককে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘সরকারি সাত কলেজ দেখভালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই পুরোপুরি আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে আলাদা রেজিস্ট্রারসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে উপদেষ্টা পরিষদের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত হয়েছে। এই প্রস্তাবের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ইতোপূর্বে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। বিষয়টি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চমহলে আলাপ করেছে। সরকারও বিষয়টির জনগুরুত্ব বিবেচনা করে আন্তরিকতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীসহ প্রধান অংশীজনদের নিয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে (সম্ভাব্য তারিখ আগামী রোববার) এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে সরকার সম্মত হয়েছে।

এদিকে, সাত কলেজ নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকট সমাধানে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি করে আসছিলেন। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, সরকারি সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের নিয়ে এ বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এ ব্যাপারে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আজ (শুক্রবার) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সাত কলেজের প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটা জায়গার ঠিক করা হবে। যেখানে সাত কলেজের প্রশাসনিক কাজ করা হবে। তাদের আলাদা রেজিস্ট্রার থাকবে। পুরো বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় গ্রান্টস কমিশনের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা আলাদা ফেসিলিটি হবে। তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট ভবনে আলাদা ফেসিলিটি হবে। তাদের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রি থাকবে। তাদের জন্য আলাদা অফিসিয়াল থাকবেন। তাদের জন্য যে সার্ভিসটা দরকার সেটা যেন ডেডিকেট ওয়েতে দিতে পারে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈশষ্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়া একাধিক শিক্ষার্থী দাবি করে বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি আমাদের মন মতো কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে, তাহলে সেটি আমরা মেনে নিবো। কিন্তু আমাদের ওপর কোনো অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে তা মানা হবে না। কারণ আমাদেরও অধিকার রয়েছে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে নিয়মে চলে, আমরাও সে নিয়মেই চলতে চাই। তবে সেক্ষত্রে সরকারের আন্তরিকতা বিশেষভাবে কামনা করেন তারা। বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আমরা সেটি চাইতেই পারি। কিন্তু এ নিয়ে আমরা কোনো বাড়াবাড়ি করতে চাই না, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলেই আমরা খুশি।