কাজে ফিরলেন মেট্রোরেল কর্মীরা, টিকিট বিক্রি শুরু

- সময় ১১:৩১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
- / 12
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশের হাতে চারজন মেট্রোরেল কর্মীর মৌখিক ও শারীরিক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগের পর কাজে ফিরেছেন মেট্রোরেল কর্মীরা। সোমবার সকাল ১০টার দিকে মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্মীরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন। এর আগে, রোববার রাতে ছয় দফা দাবিতে তারা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মেট্রোরেল কর্মীদের কথা হয়েছে। তাদের দাবিদাওয়া দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে তারা কাজে যোগদান করেছেন। ৯৫ শতাংশ স্টেশনে কর্মচারীরা স্বাভাবিকভাবে কাজ করছেন। সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আর যেসব পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাদের মধ্যে এক এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কর্মীরা টিকিট বিক্রি করছেন। এক টিকিট মেশিন অপারেটর (টিএমও) বলেন, ‘আমাদের এমডি স্যার এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা আবার কাজ শুরু করেছি।’
আজ সোমবার সকাল থেকে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল চলাচল করছে। তবে কিছু কাউন্টারে কর্মী থাকলেও তারা টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন। ফলে কিছু যাত্রী টিকিট ছাড়াই যাতায়াত করেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, রোববার রাত ২টার দিকে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এক বিবৃতিতে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে দুজন নারী পরিচয়পত্র দেখানো ছাড়াই বিনা টিকিটে ভ্রমণ করেন এবং স্টেশনের সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। নির্ধারিত পোশাক না থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।
পরবর্তীতে এপিবিএন-এর দুই সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে বের হয়ে যান, তবে তারা গেট বন্ধ করেননি। মেট্রোরেল কর্মীরা কারণ জানতে চাইলে, তারা এবং কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে এক কর্মীর কাঁধে বন্দুক দিয়ে আঘাত করা হয় এবং আরেকজন কর্মীকে এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে মারধর করা হয়। এছাড়াও, বন্দুক তাক করে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। পরে উপস্থিত অন্যান্য কর্মী ও যাত্রীরা এমআরটি পুলিশের হাত থেকে ওই কর্মীকে উদ্ধার করেন।