তারেক রহমানের দেশে ফেরায় অন্তরায়!

- সময় ১০:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
- / 71
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের রাজনীতির মাঠে বীরদর্পে ফিরে এসেছে বিএনপি। মাঠের নিয়মিত কর্মসূচীতেও দেখা মিলছে দলটির। কেবল কর্মসূচী নয়; ব্যবসা-বানিজ্যেও দলটির নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নিম্ন ও উচ্চ আদালত থেকে নিয়মিতভাবে দলটির নেতা-কর্মীদের জামিন মিলছে। নতুন কোন মামলায় তাদের জড়ানোরও খবর নেই।
সবই যখন দলটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে; তাহলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান – কেন দেশে ফিরছেন না; এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা বিরাজ করছে। কৌতুহল রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝেও।
বিএনপি নেতারা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৭ সালে ৭ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়া হয়। প্রায় ১৮ মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে তাকে। এ সময়ের মধ্যে তারেক রহমানকে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এসব মামলায় ধাপে ধাপে তাকে জামিন দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। ৮ দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর তারেক লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে লন্ডনে বসেই বিএনপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
বিএনপি নেতারা জানান, এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেকের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করা হয়। এসব মামলার মধ্যে দুর্নীতির মামলা বেশি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, অর্থ পাচার, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও ২০টির বেশি মামলা হয়েছে।
তারেকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার মধ্যে এ পর্যন্ত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচার, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। সব মামলাতেই তাকে পলাতক দেখিয়ে বিচারকাজ ও সাজা দেওয়া হয়েছে।
তবে এখনো সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় দন্ড রয়ে গেছে। সে বিষয়ে সুরহা না হওয়া পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরবেন না বলে জানা গেছে। এছাড়া দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়েও তিনি এখনো সন্ধিহান। আর এসব কারণে তার দেশে ফেরা আরো বিলম্ব হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।