মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে : শ্রম উপদেষ্টা

- সময় ০১:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / 48
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের শ্রমিকদের কল্যাণ ও মর্যাদা রক্ষায় এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি শ্রম ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনার বাস্তবায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে শ্রম বিষয়ক বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা এবং ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
উপদেষ্টা জানান, সরকার একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শ্রম অধিকার সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে, যার নেতৃত্বে একজন শ্রম অধিকারকর্মী রয়েছেন। এই কমিশন আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। তারা মার্চ ২০২৫ এর মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, সরকার ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রম আইন সংশোধন করতে ট্রেড ইউনিয়ন, নিয়োগকর্তা, উন্নয়ন অংশীদার এবং আইএলওসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। শ্রম আইন সংশোধনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও কার্যক্রম সহজতর করা এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং সম্মিলিত দর কষাকষির ওপর গুরুত্বারোপ করা। এছাড়া, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যদের গোপনীয়তা বজায় রাখার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ কার্যকর করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৩তম অধিবেশনের আগে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আলোচনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।