০৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুম হওয়া ৩৩০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০২:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 19

গুম বিষয়ক কমিশনের সংবাদ সম্মেলন

গুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন গুম বিষয়ক কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মইনুল ইসলাম জানান, কমিশনে এখন পর্যন্ত ১,৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। গুম হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হয়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়নি।

কমিশনের প্রধান বলেন, গুমের ঘটনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায় নির্ধারণ করা হলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং কালিমা মোচন সম্ভব হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে আটক ১,০৬৭ জন বাংলাদেশির তালিকা পাওয়া গেছে, যেখানে তাদের নাম-ঠিকানা সংযুক্ত রয়েছে। কমিশন বর্তমানে যাচাই করে দেখছে, এই তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তি রয়েছে কি না। অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান মইনুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

গুম হওয়া ৩৩০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে

সময় ০২:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

গুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন গুম বিষয়ক কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মইনুল ইসলাম জানান, কমিশনে এখন পর্যন্ত ১,৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। গুম হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হয়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়নি।

কমিশনের প্রধান বলেন, গুমের ঘটনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায় নির্ধারণ করা হলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং কালিমা মোচন সম্ভব হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে আটক ১,০৬৭ জন বাংলাদেশির তালিকা পাওয়া গেছে, যেখানে তাদের নাম-ঠিকানা সংযুক্ত রয়েছে। কমিশন বর্তমানে যাচাই করে দেখছে, এই তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তি রয়েছে কি না। অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান মইনুল ইসলাম।