০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টের রায় স্থগিত: সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০১:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 20

সুপ্রিম কোর্ট

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম বাতিলের হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের নিয়োগে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।

সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হলে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন।

পরবর্তী সময়ে, ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ২১ জেলার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।

এর মধ্যে কক্সবাজারে ১৮৫ জন, কুমিল্লায় ৬৪১ জন, চট্টগ্রামে ৮১২ জন, চাঁদপুরে ৩৫৮ জন, নোয়াখালীতে ৩২৮ জন, ফেনীতে ১৩৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৪৯ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩২৭ জন, কিশোরগঞ্জে ২৮৮ জন, গাজীপুরে ২৪১ জন, গোপালগঞ্জে ২৫৪ জন, টাঙ্গাইলে ৫৯৭ জন, ঢাকায় ৩০৯ জন, নরসিংদীতে ২৬০ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৮৪ জন, ফরিদপুরে ২২৭ জন, মাদারীপুরে ২০৮ জন, মানিকগঞ্জে ৩০১ জন, মুন্সীগঞ্জে ২২২ জন, রাজবাড়ী ১০৪ জন, শরীয়তপুরে ১৯৯ জন উত্তীর্ণ হন।

এরপর ১৯ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেন।

শেয়ার করুন

হাইকোর্টের রায় স্থগিত: সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগে বাধা নেই

সময় ০১:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম বাতিলের হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের নিয়োগে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।

সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হলে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন।

পরবর্তী সময়ে, ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ২১ জেলার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।

এর মধ্যে কক্সবাজারে ১৮৫ জন, কুমিল্লায় ৬৪১ জন, চট্টগ্রামে ৮১২ জন, চাঁদপুরে ৩৫৮ জন, নোয়াখালীতে ৩২৮ জন, ফেনীতে ১৩৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৪৯ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩২৭ জন, কিশোরগঞ্জে ২৮৮ জন, গাজীপুরে ২৪১ জন, গোপালগঞ্জে ২৫৪ জন, টাঙ্গাইলে ৫৯৭ জন, ঢাকায় ৩০৯ জন, নরসিংদীতে ২৬০ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৮৪ জন, ফরিদপুরে ২২৭ জন, মাদারীপুরে ২০৮ জন, মানিকগঞ্জে ৩০১ জন, মুন্সীগঞ্জে ২২২ জন, রাজবাড়ী ১০৪ জন, শরীয়তপুরে ১৯৯ জন উত্তীর্ণ হন।

এরপর ১৯ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেন।