১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সেকেন্ড রিপাবলিক ইস্যুতে মির্জা আব্বাস

আমি এখনো বুঝতে পারিনি, তারা কী বোঝাতে চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১০:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 34

এতিম ও ওলামা-মাশায়েখদের সম্মানে ইফতার মাহফিল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জাতির মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। বিশেষ করে বিএনপি ও আলেম-ওলামাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে দেশ-বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র চলছে।

নতুন রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিয়েও তিনি বলেন, “তারা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এবং ‘সেকেন্ড রিপাবলিক‘ নিয়ে যে স্লোগান দিচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। আমি এখনো বুঝতে পারিনি, তারা কী বোঝাতে চায়। এ ধরনের উসকানিমূলক ধারণা জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।”

রবিবার (২ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আয়োজিত এতিম ও ওলামা-মাশায়েখদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, “একটি গোষ্ঠী বিএনপির সঙ্গে আলেম-ওলামাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। তবে এই বিভেদ শুধু বিএনপি ও ওলামাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আরও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই বিভক্তির সুযোগ নিয়ে বিদেশি শক্তি দেশে প্রবেশের পথ খুঁজছে, যা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে।”

ইফতার মাহফিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রমজানের শিক্ষা ও সংযমের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “রমজান আমাদের ধৈর্য ও মানবিক মূল্যবোধ শেখায়। এটি আমাদের একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়।”

এ সময় তিনি ওলামা-মাশায়েখদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও একই দিনে রোজা ও ঈদ পালনের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এটি সম্ভব কিনা, তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “একটি শ্রেণি বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি আমাদের ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টাও চলছে। ওলামা-মাশায়েখদের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।”

তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইফতার মাহফিলে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা, ওলামা-মাশায়েখ এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী অংশ নেন। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন সুবহানবাগ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ মসজিদের খতিব মুফতি মহিউদ্দিন, জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা, মিরেশ্বরাই দরবার শরীফের পীর মাওলানা আব্দুল মোমেন নাছেরী।

এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানি, অমলেন্দু দাস অপু, জন গোমেজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, সাবেক সদস্য সচিব মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ ছিলেন।

শেয়ার করুন

সেকেন্ড রিপাবলিক ইস্যুতে মির্জা আব্বাস

আমি এখনো বুঝতে পারিনি, তারা কী বোঝাতে চায়

সময় ১০:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জাতির মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। বিশেষ করে বিএনপি ও আলেম-ওলামাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে দেশ-বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র চলছে।

নতুন রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিয়েও তিনি বলেন, “তারা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এবং ‘সেকেন্ড রিপাবলিক‘ নিয়ে যে স্লোগান দিচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। আমি এখনো বুঝতে পারিনি, তারা কী বোঝাতে চায়। এ ধরনের উসকানিমূলক ধারণা জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।”

রবিবার (২ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আয়োজিত এতিম ও ওলামা-মাশায়েখদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, “একটি গোষ্ঠী বিএনপির সঙ্গে আলেম-ওলামাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। তবে এই বিভেদ শুধু বিএনপি ও ওলামাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আরও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই বিভক্তির সুযোগ নিয়ে বিদেশি শক্তি দেশে প্রবেশের পথ খুঁজছে, যা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে।”

ইফতার মাহফিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রমজানের শিক্ষা ও সংযমের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “রমজান আমাদের ধৈর্য ও মানবিক মূল্যবোধ শেখায়। এটি আমাদের একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়।”

এ সময় তিনি ওলামা-মাশায়েখদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও একই দিনে রোজা ও ঈদ পালনের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এটি সম্ভব কিনা, তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “একটি শ্রেণি বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি আমাদের ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টাও চলছে। ওলামা-মাশায়েখদের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।”

তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইফতার মাহফিলে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা, ওলামা-মাশায়েখ এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী অংশ নেন। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন সুবহানবাগ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ মসজিদের খতিব মুফতি মহিউদ্দিন, জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা, মিরেশ্বরাই দরবার শরীফের পীর মাওলানা আব্দুল মোমেন নাছেরী।

এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানি, অমলেন্দু দাস অপু, জন গোমেজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, সাবেক সদস্য সচিব মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ ছিলেন।