১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন দেরিতে হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৫:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 23

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে হবে, দেরি হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে সরকার কী করবে জনগণের সামনে তা দৃশ্যমান করার দাবি জানাচ্ছি। নির্বাচন প্রক্রিয়া যতো দীর্ঘায়িত হবে, চলমান সমস্যা আরও বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির মধ্যে যে অস্থিরতা রয়েছে তা কাটাতে হলে একটি নির্বাচন প্রয়োজন। যত দিন যাচ্ছে গণতন্ত্র উত্তরণের যাত্রা পথ বাধাগ্রস্ত করার কূটকৌশল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু পুলিশ দিয়ে নয়, রাজনীতি দিয়ে ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা করতে হবে। তাহলেই ফ্যাসিবাদের মূল উপড়ে ফেলা যাবে।’

সংস্কারের প্রথম প্রস্তাবক বিএনপি। দলটি সবার আগে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবের সঙ্গে সরকারের কমিশনের খুব বেশি পার্থক্য নেই- এমনটাও বলেন তিনি।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এখনও অনুশোচনা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। বরং তাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ারাই অপরাধী। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টাতে হবে।’

এ সময় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহবান জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আনা গেলে তারা সরকারের ভালো কাজগুলোরও সমালোচনা করবে।’ এই বিষয়টির দিকে নজর দিতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শেয়ার করুন

নির্বাচন দেরিতে হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে

সময় ০৫:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে হবে, দেরি হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে সরকার কী করবে জনগণের সামনে তা দৃশ্যমান করার দাবি জানাচ্ছি। নির্বাচন প্রক্রিয়া যতো দীর্ঘায়িত হবে, চলমান সমস্যা আরও বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির মধ্যে যে অস্থিরতা রয়েছে তা কাটাতে হলে একটি নির্বাচন প্রয়োজন। যত দিন যাচ্ছে গণতন্ত্র উত্তরণের যাত্রা পথ বাধাগ্রস্ত করার কূটকৌশল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু পুলিশ দিয়ে নয়, রাজনীতি দিয়ে ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা করতে হবে। তাহলেই ফ্যাসিবাদের মূল উপড়ে ফেলা যাবে।’

সংস্কারের প্রথম প্রস্তাবক বিএনপি। দলটি সবার আগে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবের সঙ্গে সরকারের কমিশনের খুব বেশি পার্থক্য নেই- এমনটাও বলেন তিনি।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এখনও অনুশোচনা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। বরং তাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ারাই অপরাধী। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টাতে হবে।’

এ সময় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহবান জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আনা গেলে তারা সরকারের ভালো কাজগুলোরও সমালোচনা করবে।’ এই বিষয়টির দিকে নজর দিতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।