১১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুফতি ছাইফুল্লাহ ১৬ বছর পর শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ
  • সময় ০৪:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 51

মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ

দীর্ঘ ১৬ বছর পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে পুনরায় ইমামতির দায়িত্ব পেলেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।

রবিবার (২ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. এরশাদ মিয়া।

তিনি জানান, কিশোরগঞ্জবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে পুনরায় ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মুফতি ছাইফুল্লাহ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর, স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তৎকালীন জেলা প্রশাসন তাকে ইমামতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। একইসঙ্গে মোতাওয়াল্লীর অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নতুন ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করে ঈদের জামাত পরিচালনা করে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ আত্মগোপনে চলে গেছেন। তিনি রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি বলেও জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহর আগে তার পিতা মাওলানা এ. কে. এম নূরুল্লাহ টানা ৩০ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহের অবৈতনিক ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শেয়ার করুন

মুফতি ছাইফুল্লাহ ১৬ বছর পর শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম

সময় ০৪:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

দীর্ঘ ১৬ বছর পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে পুনরায় ইমামতির দায়িত্ব পেলেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।

রবিবার (২ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. এরশাদ মিয়া।

তিনি জানান, কিশোরগঞ্জবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে পুনরায় ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মুফতি ছাইফুল্লাহ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর, স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তৎকালীন জেলা প্রশাসন তাকে ইমামতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। একইসঙ্গে মোতাওয়াল্লীর অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নতুন ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করে ঈদের জামাত পরিচালনা করে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ আত্মগোপনে চলে গেছেন। তিনি রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি বলেও জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহর আগে তার পিতা মাওলানা এ. কে. এম নূরুল্লাহ টানা ৩০ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহের অবৈতনিক ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।