সপরিবারে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে অজ্ঞাত স্থানে নেয়া হয়েছে

- সময় ১১:০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
- / 229
স্কি ছুটিতে থাকা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার পরিবারকে নিরাপত্তার কারণে ‘অজ্ঞাত স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার ভারমন্টে ছুটি কাটানোর সময় ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারীদের সম্মুখীন হলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ভ্যান্সকে ঘিরে ফেলে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়।
এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া বৈঠকের পর। বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ করেই জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় কথা বলেন, যা কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তিনি অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পরও যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি। জেলেনস্কি কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যান্স পাল্টা বলেন, ‘আমি এমন কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে।’

ফক্স নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্যান্সের কড়া বক্তব্যের পর ইউক্রেনপন্থী আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা হাতে প্ল্যাকার্ড বহন করছিল, যার একটিতে লেখা ছিল, ‘রাশিয়ায় গিয়ে স্কি কর।’
বৈঠকের পর এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য নন। ভ্যান্সের আচরণকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কেবল ইউক্রেনের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্যও একটি নেতিবাচক উদাহরণ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কিছু রিপাবলিকান নেতা, বিশেষ করে দক্ষিণ ক্যারোলিনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম, ভ্যান্সের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং বলেন, ‘আমি জেডি ভ্যান্সের সাহসী অবস্থানের জন্য গর্বিত।’ তবে অন্যদিকে, কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যকার সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।
দ্য সুফান সেন্টারের গবেষক নিকি লিউবারস্কি ‘ডেইলি এক্সপ্রেস ইউএস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক কখনও পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য ছিল না, তবে বর্তমান পরিস্থিতি এক নতুন ধরণের অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কারণে ওয়াশিংটনের কিয়েভের প্রতি প্রতিশ্রুতি নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন উঠেছে।