জুমার নামাজের সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৩

- সময় ০৪:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 83
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার নওশেরা এলাকার একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার মাদ্রাসার প্রধান হলে জুমার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর ডন নিউজের।
খাইবার পাকতুনখাওয়ার উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র বিলাল ফাইজি জানান, বিস্ফোরণে অন্তত তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের আইজি জুলফিকার হামিদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে হচ্ছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা হামিদুল হককে টার্গেট করে এ হামলা চালানো হতে পারে।
‘যখন বিস্ফোরণটি ঘটে, তখন মসজিদে জুমার নামাজের জন্য বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি’ – যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাদ্রাসাটি আফগান তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচিত, যা এ হামলার পেছনে সম্ভাব্য উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিস্ফোরণের ধরন ও সম্ভাব্য হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানের আগে এটি ছিল শেষ জুমার নামাজ, তাই মসজিদে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সেদিনই ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।
এদিকে, হামলার পর পুরো এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।