০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সুদানে বিমান বিধ্বস্ত

চূড়ান্ত গণনা শেষে, নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ০৭:০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 38

সুদানে বিমান বিধ্বস্ত

সুদানে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জন হয়েছে। রাজধানী খার্তুমের উপকণ্ঠে মঙ্গলবার রাতে একটি সামরিক বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে ২০ জনের মৃত্যর কথা জানানো হয়। তবে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকার জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন।

দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “চূড়ান্ত গণনা শেষে, নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়াদি-সেদনা বিমান ঘাঁটি থেকে অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটিকে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে লড়াই করছে সুদানের সেনাবাহিনী। দুই বাহিনীর এই লড়াইয়ে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কয়েকদিন আগে আরএসএফ সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত করার দাবি করে। এরপরই সেখানে আরেকটি সামরিক পরিবহণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল। তবে এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি অন্যকিছু সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনায় আহত ও নিহদের প্রথমে ওমদুরমানের আল-নাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর দেখেন আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় যে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে বাড়ির বাসিন্দারা আছেন কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। এছাড়া বাড়িঘরের ওপর বিমান পড়ার পর সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

শেয়ার করুন

সুদানে বিমান বিধ্বস্ত

চূড়ান্ত গণনা শেষে, নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে

সময় ০৭:০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সুদানে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জন হয়েছে। রাজধানী খার্তুমের উপকণ্ঠে মঙ্গলবার রাতে একটি সামরিক বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে ২০ জনের মৃত্যর কথা জানানো হয়। তবে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকার জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন।

দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “চূড়ান্ত গণনা শেষে, নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়াদি-সেদনা বিমান ঘাঁটি থেকে অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটিকে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে লড়াই করছে সুদানের সেনাবাহিনী। দুই বাহিনীর এই লড়াইয়ে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কয়েকদিন আগে আরএসএফ সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত করার দাবি করে। এরপরই সেখানে আরেকটি সামরিক পরিবহণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল। তবে এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি অন্যকিছু সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনায় আহত ও নিহদের প্রথমে ওমদুরমানের আল-নাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর দেখেন আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় যে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে বাড়ির বাসিন্দারা আছেন কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। এছাড়া বাড়িঘরের ওপর বিমান পড়ার পর সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।