০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার পরিচালনায় কঠোরতা চান মির্জা ফখরুল

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০৯:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 21

মির্জা ফখরুল-ড.ইউনূস

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকার পরিচালনায় কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আপনার বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা ও সুনাম রয়েছে। আমরা আশা করি, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।”

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজিত পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, আমরা শুধু নির্বাচন চাই, সংস্কার চাই না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিছু মহল বিএনপিকে টার্গেট করে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই, বিভাজন সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধ হোন, যেন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।”

তিনি আরও বলেন, ছাত্র ও সাধারণ জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার হটানো হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হলেও একে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা বিদেশে বসে চক্রান্ত করছেন, কীভাবে গণঅভ্যুত্থানের বিজয় ব্যর্থ করা যায়। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

২৫ ফেব্রুয়ারি: এক কালো অধ্যায়

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে “কালো দিন” হিসেবে অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করার ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই শত্রুরা পরিকল্পিতভাবে এই বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। এতে দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।”

তিনি প্রশ্ন রাখেন, “সেদিন রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে শেখ হাসিনা কী ভূমিকা পালন করেছেন? সেনাপ্রধানের ভূমিকাই বা কী ছিল? জাতির দুঃসময়ে সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তাদের দেশপ্রেমিক ভূমিকা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পিলখানায় দুই দিন ধরে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটতে সহায়তা করেছে।”

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

সরকার পরিচালনায় কঠোরতা চান মির্জা ফখরুল

সময় ০৯:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকার পরিচালনায় কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আপনার বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা ও সুনাম রয়েছে। আমরা আশা করি, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।”

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজিত পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, আমরা শুধু নির্বাচন চাই, সংস্কার চাই না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিছু মহল বিএনপিকে টার্গেট করে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই, বিভাজন সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধ হোন, যেন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।”

তিনি আরও বলেন, ছাত্র ও সাধারণ জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার হটানো হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হলেও একে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা বিদেশে বসে চক্রান্ত করছেন, কীভাবে গণঅভ্যুত্থানের বিজয় ব্যর্থ করা যায়। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

২৫ ফেব্রুয়ারি: এক কালো অধ্যায়

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে “কালো দিন” হিসেবে অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করার ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই শত্রুরা পরিকল্পিতভাবে এই বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। এতে দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।”

তিনি প্রশ্ন রাখেন, “সেদিন রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে শেখ হাসিনা কী ভূমিকা পালন করেছেন? সেনাপ্রধানের ভূমিকাই বা কী ছিল? জাতির দুঃসময়ে সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তাদের দেশপ্রেমিক ভূমিকা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পিলখানায় দুই দিন ধরে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটতে সহায়তা করেছে।”

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।