০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহর-গ্রামে সমান লোডশেডিং: বন্ধ রাখা সম্ভব নয়

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • সময় ১০:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 31

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান (ফাইল ছবি)

গ্রীষ্মকালে সেচ কার্যক্রম ও তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় লোডশেডিং এড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে সিপিডি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিসি সম্মেলনে তিনি জানান, এবারের গ্রীষ্মে শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সরকার লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে বিদ্যুতের সাশ্রয় নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

বিদ্যুৎ
বিদ্যুৎ

সেচ মৌসুম ও তীব্র গরমে এসির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। গত বছর সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৬,৪৭৭ মেগাওয়াট থাকলেও সরবরাহ বেশিরভাগ সময় ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ছিল। ফলে লোডশেডিং ২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এবার গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এবার লোডশেডিং ৩ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে লোডশেডিং হবে না। তবে গ্রীষ্মে ৭০০ থেকে ১,৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।

ফাওজুল করিবর আরো বলেন, রমজানে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রমজানে ও গ্রীষ্মে ১৮ হাজার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা হতে পারে। বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে কোনো লোডশেডিং হবেনা। তবে গ্রীষ্মে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।’

‘এসময় কুলিং লোড বাড়ে। তা কমাতে শীতাতপ যন্ত্র ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখলে লোডশেডিং মোকাবিলা সহজ হবে। সবাইকে সহায়তা করতে হবে লোডশেডিং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়।’

বেআইনি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে বৈধ গ্রাহকরাও ভোগান্তিতে পড়েন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন করার জোর পদক্ষেপ চলমান থাকবে।’

আমদানির অর্থ সংস্থান নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা জানান, আগামী মৌসুমের অর্থের চাহিদা অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরকে জানানো হয়েছে।

তারা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ আমদানির প্রয়োজনীয় অর্থ সরবারহের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ফাওজুল কবির। তিনি জানান, সরকার ব্যয় সংকোচনে জোর দিলেও, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে।

শেয়ার করুন

শহর-গ্রামে সমান লোডশেডিং: বন্ধ রাখা সম্ভব নয়

সময় ১০:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গ্রীষ্মকালে সেচ কার্যক্রম ও তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় লোডশেডিং এড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে সিপিডি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিসি সম্মেলনে তিনি জানান, এবারের গ্রীষ্মে শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সরকার লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে বিদ্যুতের সাশ্রয় নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

বিদ্যুৎ
বিদ্যুৎ

সেচ মৌসুম ও তীব্র গরমে এসির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। গত বছর সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৬,৪৭৭ মেগাওয়াট থাকলেও সরবরাহ বেশিরভাগ সময় ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ছিল। ফলে লোডশেডিং ২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এবার গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এবার লোডশেডিং ৩ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে লোডশেডিং হবে না। তবে গ্রীষ্মে ৭০০ থেকে ১,৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।

ফাওজুল করিবর আরো বলেন, রমজানে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রমজানে ও গ্রীষ্মে ১৮ হাজার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা হতে পারে। বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে কোনো লোডশেডিং হবেনা। তবে গ্রীষ্মে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।’

‘এসময় কুলিং লোড বাড়ে। তা কমাতে শীতাতপ যন্ত্র ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখলে লোডশেডিং মোকাবিলা সহজ হবে। সবাইকে সহায়তা করতে হবে লোডশেডিং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়।’

বেআইনি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে বৈধ গ্রাহকরাও ভোগান্তিতে পড়েন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন করার জোর পদক্ষেপ চলমান থাকবে।’

আমদানির অর্থ সংস্থান নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা জানান, আগামী মৌসুমের অর্থের চাহিদা অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরকে জানানো হয়েছে।

তারা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ আমদানির প্রয়োজনীয় অর্থ সরবারহের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ফাওজুল কবির। তিনি জানান, সরকার ব্যয় সংকোচনে জোর দিলেও, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে।