সেই কাঠবাহী ট্রলার মুক্তি দেয়নি আরাকান আর্মি

- সময় ০৭:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 36
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদীর মোহনা থেকে জিম্মি করা কাঠবাহী ট্রলারটি ১৪ দিনেও মুক্তি দেয়নি মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউন শিফের খায়ান খালী খালে ট্রলারটি জিম্মি করা হয়।
স্থলবন্দরের কাঠ ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, ৩৫ টন কাঠ নিয়ে মিয়ানমার থেকে একটি ট্রলার আমার কাছে আসার পথে সেদেশের আরাকান আর্মি সদস্যরা অবৈধ মালামাল রয়েছে বলে আটক করে। তল্লাশি করার নামে ট্রলারটি ধরে নিয়ে যায় খায়ান খালি খালে। আরাকান আর্মির সদস্যদের হাতে জিম্মি থাকা ট্রলারটি ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো ছাড়া পায়নি। আরাকান আর্মিকে হয়তো কেউ ভুল তথ্য দিয়েছে। তবে সেদেশের ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ চলছে। কাঠগুলো তল্লাশি শেষে ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড টেকনাফের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও কাঠবাহী ট্রলারটি বন্দরে এসে পৌঁছায়নি।
এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে কক্সবাজার টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদীর মোহনায় আটক করেছিলো পণ্যবাহী ৪টি কার্গো জাহাজ। পরে ৪টি পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর থেকে আকিয়াব ও ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো পণ্যবাহী ট্রলার আসেনি।
স্থল বন্দরের শুল্ক ও কর্মকর্তা বিএম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, মিয়ানমার থেকে পণ্য আসা বন্ধ থাকায় দৈনিক ৪ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে প্রতিবছর মিয়ানমার থেকে ছোলা, পিঁয়াজ, রসুন, জিরা, নারকেলসহ বিভিন্ন ধরনের ভোগ্য পণ্য আমদানি হয়ে আসছিল।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে কাঠবাহী একটি ট্রলার নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, টানা ১১ মাস মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সরকারি জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির টানা সংঘর্ষ চলাকালে গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউন দখল করে নেন আরাকান আর্মির সদস্যরা। এরপর আরাকান আর্মি সদস্যরা নাফ নদীর তাদের জল সীমানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।