ভিসি অবরুদ্ধ, সিন্ডিকেট সভা স্থগিত
দাবি না মানলে কুয়েট বন্ধের হুমকি

- সময় ১২:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 53
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে তাদের ৫ দফা দাবি না মানলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে করা হয়েছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভা রেজিস্ট্রার ভবন থেকে পাঠানো এক অফিস আদেশের মাধ্যমে স্থগিত করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন, এবং মেডিকেল সেন্টারের সামনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করছেন। শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদসহ, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন এবং বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার মধ্যে তাদের দাবি পূর্ণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যাতে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টার এবং আশপাশের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী ও অধীন কেউ কোনো রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং এর ব্যতয় ঘটলে শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আজীবন বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়টি স্পষ্টভাবে অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে।
২. মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষার্থী এবং তাঁদের প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হত্যাচেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং জড়িত সবাইকে বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। জড়িতদের তালিকা শিক্ষার্থীরাই প্রদান করবে।
৩. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যের সহায়তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. হামলার ঘটনায় আহত সবার চিকিৎসার ব্যয় প্রশাসন থেকে বহন করতে হবে। আহত ব্যক্তিদের তালিকা শিক্ষার্থীদের থেকে প্রদান করতে হবে।
৫. এসব দাবি পূরণ করে ঘটনার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে পদত্যাগ করতে হবে।