তামাকজনিত রোগে বছরে খরচ ৪২ হাজার কোটি
- সময় ০৪:৪৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
- / 25
তামাক ব্যবহারজনিত রোগের কারণে বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয় বলে দাবি করেছেন তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো। তাদের মতে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর হলে এই স্বাস্থ্য ব্যয় কমে আসবে। এ জন্য উচ্চ কর আরোপ এবং কঠোর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আজ (৩১ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে রাজধানীর জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘সুস্থ্য থাকতে ধূমপান না করে নিয়মিত হাঁটার আহবান’ জানিয়ে এক ওয়াকাথন হতে এই আহবান জানানো হয়।
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি ও মানস- মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা যৌথভাবে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন রোগ এবং মৃত্যু কমায়’ শীর্ষক এ ওয়াকাথানের আয়োজন করে।
এ সময় বক্তারা, তামাক নিয়ন্ত্রণ কঠোর করতে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের অভ্যন্তরে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, কিশোরদের আকৃষ্ট বন্ধে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ বন্ধ করা ও স্ট্যাডার্ড প্যাকেজিং নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
কর্মসূচিটি জাতীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে রমনা পার্কের অন্তাচল গেট (জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স সংলগ্ন) এ গিয়ে শেষ হয়। ওয়াকাথানের উদ্বোধন করেন মাদক বিরোধী সংগঠন ‘মানস’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে মৃত্যুর হার বাড়ছে। ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে সচেতনতার অংশ হিসেবে বেশি বেশি হাঁটার পাশাপাশি শাকসবজিও গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে তামাক কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর না করার জন্য নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। সরকারকে তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপসহ, এমআরপিতে সিগারেট বিক্রি নিশ্চিত করা এবং তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, তামাক কোম্পানি বর্তমানে তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের লক্ষ্য সুস্থ-সবল জাতি গঠনে সরকারের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করা। তামাক কোম্পানির ভয়ানক ব্যবসায়িক ফাঁদ থেকে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে আইন ভঙ্গ করা বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আস আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন প্রত্যশা মাদক বিরোধী সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি হেলাল আহমেদ, নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বিএনটিটিপির সচিবালয় ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, সিটিএফকে এর কমিউনিকেশন ম্যানেজার হুমাইরা সুলতানা।
কর্মসূচির সহ আয়োজক হিসেবে এইড ফাউন্ডেশন, আর্ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), ডেভলপমেন্ট অ্যাকটিভিটিস অব সোসাইটি-ডাস, গ্রামবাংলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সংস্থা-নাটাব, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর শতাধিক কিশোর-তরুণ, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মী ও অবিভাবকগণ অংশগ্রহণ করেন।