ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রান্তিকালীন প্রেসিডেন্ট আল-শারা, নতুন পথে সিরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ০২:২০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 8

সিরিয়া

সিরিয়ায় নাটকীয় পরিবর্তন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের রাজনৈতিক দল বাথ পার্টি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে নতুন প্রশাসন। একইসঙ্গে সংবিধান বাতিল এবং সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হারানোর দুই মাস পর সাবেক বিরোধীদলীয় কমান্ডার আহমেদ আল-শারা দেশটির ক্রান্তিকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। নতুন সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তার নেতৃত্বেই চলবে দেশটির প্রশাসনিক কার্যক্রম।

সিরিয়ায় পরিবর্তনের ঢেউ
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা জানিয়েছে, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আহমেদ আল-শারা দায়িত্ব পালন করবেন। তার নেতৃত্বে একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠন করা হবে, যা নতুন সংবিধান কার্যকরের আগে দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করবে।

দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি সময় সিরিয়া শাসন করা বাথ পার্টি বিলুপ্তির পাশাপাশি, সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আল-শারার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS)-ও রয়েছে।

দামেস্কে ঐতিহাসিক বৈঠক
গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার ক্ষমতা পরিবর্তনের পর রাজধানী দামেস্কে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিদ্রোহী কমান্ডারদের সঙ্গে নতুন প্রশাসনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। আল-শারা বৈঠকে আশ্বাস দেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো শুধু প্রতিনিধিত্বই করবে না, বরং নতুন সিরিয়ার অংশ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।

নির্বাচন ও নতুন সংবিধানের অপেক্ষা
সিরিয়ায় কবে নির্বাচন হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে দেশটির নতুন প্রশাসন প্রায় চার বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। আল-শারা এর আগে জানিয়েছেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতেই কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগতে পারে।

দেশে নতুন আদমশুমারি পরিচালনার পরই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এতে ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে এবং একটি অর্থবহ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

সিরিয়ায় এই পরিবর্তন দেশটির ভবিষ্যতের জন্য কতটা ইতিবাচক হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে নতুন প্রশাসনের এই রূপান্তর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র: আল-জাজিরা

শেয়ার করুন

ক্রান্তিকালীন প্রেসিডেন্ট আল-শারা, নতুন পথে সিরিয়া

সময় ০২:২০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

সিরিয়ায় নাটকীয় পরিবর্তন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের রাজনৈতিক দল বাথ পার্টি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে নতুন প্রশাসন। একইসঙ্গে সংবিধান বাতিল এবং সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হারানোর দুই মাস পর সাবেক বিরোধীদলীয় কমান্ডার আহমেদ আল-শারা দেশটির ক্রান্তিকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। নতুন সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তার নেতৃত্বেই চলবে দেশটির প্রশাসনিক কার্যক্রম।

সিরিয়ায় পরিবর্তনের ঢেউ
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা জানিয়েছে, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আহমেদ আল-শারা দায়িত্ব পালন করবেন। তার নেতৃত্বে একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠন করা হবে, যা নতুন সংবিধান কার্যকরের আগে দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করবে।

দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি সময় সিরিয়া শাসন করা বাথ পার্টি বিলুপ্তির পাশাপাশি, সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আল-শারার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS)-ও রয়েছে।

দামেস্কে ঐতিহাসিক বৈঠক
গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার ক্ষমতা পরিবর্তনের পর রাজধানী দামেস্কে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিদ্রোহী কমান্ডারদের সঙ্গে নতুন প্রশাসনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। আল-শারা বৈঠকে আশ্বাস দেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো শুধু প্রতিনিধিত্বই করবে না, বরং নতুন সিরিয়ার অংশ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।

নির্বাচন ও নতুন সংবিধানের অপেক্ষা
সিরিয়ায় কবে নির্বাচন হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে দেশটির নতুন প্রশাসন প্রায় চার বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। আল-শারা এর আগে জানিয়েছেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতেই কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগতে পারে।

দেশে নতুন আদমশুমারি পরিচালনার পরই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এতে ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে এবং একটি অর্থবহ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

সিরিয়ায় এই পরিবর্তন দেশটির ভবিষ্যতের জন্য কতটা ইতিবাচক হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে নতুন প্রশাসনের এই রূপান্তর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র: আল-জাজিরা