কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাবধান করলেন বিমানের এমডি
- সময় ০৬:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
- / 47
টিকেট কারসাজির অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব-অবস্থান থেকে সরিয়ে নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিকভাবে সাবধান করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান।
তিনি দাবি করেন, বর্তমানে আগাম সিট বুকিং, টিকেট ব্লকিং শূন্যের কোটায় রয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এর আগে রোববার ২৬ জানুয়ারি ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আটাব) এক সংবাদ সম্মেলনে এয়ার টিকেট কালোবাজারির অভিযোগ আনে। তারা দাবি করেন, এয়ারলাইনস কর্তৃক যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়া বাল্ক টিকিট বিক্রয় ও মজুতদারি করা হচ্ছে।
এই সংবাদ সম্মেলনের মাত্র চারদিনের মাথায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি এবং সিইও মো. সাফিকুর রহমান।
সাংবাদিকের সাফিকুর রহমান বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনার আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। ব্যাগেজের বিষয়ে কোন অভিযোগ আসলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ করি। তবে আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আশা করি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন শুরু হলে আরও ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হবে।
তিনি বলেন, ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিমানকর্মীদের গায়ে বডিওর্ন ক্যামেরা থাকে। ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের ডিউটিতে প্রবেশে সময় তারা ক্যামেরা লাগায়। ডিউটি শেষে ফেরার সময় তারা ক্যামেরা ফেরত দেয়। নজরদারি বাড়াতে নতুন আরও ১৫০ টি ক্যামেরা কেনা হয়েছে।
বিমানের হজ ফ্লাইটের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিমানের বহরে যতগুলো এয়ারক্রাফট রয়েছে তা নিয়ে নির্বিঘ্নে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করা যাচ্ছে। তবে হজ মৌসুমে এয়ারক্রাফটের চাহিদা বেশি থাকবে। সেক্ষেত্রে ২/১ টি রুটের ফ্লাইট সং্খ্যা কমিয়ে সেই এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আমরা আশা করছি বরাবরের মতো এবারও হাজিরা নির্বিঘ্নে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চড়ে পবিত্র হজ পালন করবেন।
বিমানের ফ্লাইট ডিলে শূন্যের কোটায় আনা, ক্রুসহ কর্মীদের আচার-ব্যবহার আরও নমনীয় করতে ও বিমানকে আরও যাত্রীবান্ধব করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান বিমানের এমডি ও সিইও।